ঢাকার গোলাপবাগ: রাজনীতি ও জনজীবনের সংযোগস্থল
ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকায় অবস্থিত গোলাপবাগ মাঠ রাজনৈতিক সমাবেশ ও জনজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই মাঠটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশের জন্য ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে বিএনপি'র সমাবেশের জন্য। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে, নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি না পাওয়ার পর, বিএনপি'র ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ গোলাপবাগ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়।
গোলাপবাগ মাঠটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) জোন ৫ এর অধীনে, যার আয়তন ২.৮০ একর। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজের জন্য দীর্ঘদিন ব্যবহারের অনুপযোগী থাকার পর প্রায় ১৪ হাজার ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি সংস্কার করা হয়। মাঠটিতে নিয়মিত খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয় এবং মেয়র কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজনের কথা রয়েছে। দুটি গ্যালারি, ১০টি দোকান এবং একটি লাইব্রেরিও রয়েছে মাঠের সাথে। তবে মাঠে অবস্থান করতে পারে এমন লোকসংখ্যা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়েছে। মাঠের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা অনুমান করেন ৫০ হাজার, আর স্থানীয়দের মতে ১ লাখেরও বেশি মানুষ মাঠে অবস্থান করতে পারে।
গোলাপবাগ মাঠের রাজনৈতিক ব্যবহারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দিক থেকে প্রতিক্রিয়া আসে। বিএনপি'র সমাবেশের আগে ও পরে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা, নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, পুলিশি নিরাপত্তা বৃদ্ধি, এসব ঘটনা সম্পর্কে ব্যাপক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সরকার ও মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সহিংসতার ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।
গোলাপবাগ মাঠের ভবিষ্যৎ ব্যবহার ও জনসাধারণের অংশগ্রহণের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। মাঠটির উন্নয়ন ও সংস্কারের পরও জনসাধারণের জন্য এটি পুরোপুরি উন্মুক্ত করা হয়নি এমন অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি মাঠটি যেন তাদের জন্য দ্রুত উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।