চাম্বল

চাম্বল (চাপালিশ): বাংলাদেশের একটি বিপন্ন বন্য ফলের গাছ

চাম্বল, চাপালিশ, বা কাঁঠালি চাম – এই নামেই পরিচিত মোরাসি পরিবারভুক্ত একটি বিপন্ন বন্য প্রজাতির বৃক্ষ। বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus chama। কাঁঠালের সাথে এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও আকারে তুলনামূলকভাবে ছোট। এর ফল মানুষ খায়, কিন্তু বন্যপ্রাণীদের কাছে এটি অধিক জনপ্রিয়। দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই কাঠের জন্য আসবাবপত্র, দরজা-জানালা, এমনকি রেলপথের স্লিপার তৈরিতেও এর ব্যবহার রয়েছে।

  • *ভৌগোলিক অবস্থান ও বিস্তৃতি:**

চাম্বল গাছের বিস্তৃতি বাংলাদেশসহ চীনের ইউনান, ভুটান, ভারত, লাওস, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, এবং থাইল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত। বাংলাদেশে মধুপুর বনাঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের পাহাড়ি বন এবং সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে এটি বেশি দেখা যায়। এছাড়াও কুমিল্লার লালমাই পাহাড়, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, ফুলবাড়িয়া, ভালুকায় ও ত্রিশাল উপজেলা এবং ঢাকার মিরপুর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানেও এটি দেখা যায়। রাঙামাটি শহরে ৩১৬ বছরেরও বেশি পুরোনো একটি চাপালিশ গাছ এখনও টিকে আছে, এবং লাউয়াছড়ায়ও একটি শতবর্ষী গাছ রয়েছে।

  • *ঐতিহাসিক তথ্য:**

চাম্বল গাছের সুনির্দিষ্ট কোনো ঐতিহাসিক ঘটনা উল্লেখযোগ্য নয়। তবে, এর দীর্ঘায়ু এবং বন্যপ্রাণীর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বিবেচনা করে এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না। দীর্ঘ বছর ধরে এর কাঠের ব্যবহার এবং ঔষধি গুণাবলী এর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক মূল্য বাড়িয়ে তোলে।

  • *বর্তমান অবস্থা:**

বন উজাড় এবং আবাসস্থলের ক্ষয়ের কারণে চাম্বল গাছ বিপন্ন প্রজাতিতে পরিণত হয়েছে। এর সংরক্ষণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

মূল তথ্যাবলী:

  • চাম্বল একটি বিপন্ন বন্য প্রজাতির বৃক্ষ
  • কাঁঠালের সাথে এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক
  • দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই কাঠ
  • বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে বিস্তৃত
  • সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা