গ্যাবি লুইস: আইরিশ ক্রিকেটের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র
গ্যাবি হোলিস লুইস (জন্ম: ২৭ মার্চ ২০০১) আইরিশ ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে তরুণ ও প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের একজন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে, ২০১৪ সালের জুলাই মাসে, তিনি আইরিশ জাতীয় দলে অভিষেক করেন এবং একই বছর টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক (টি২০আই)-এ সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে খেলার সুযোগ পান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ২০১৮ সালে তাকে বিশ্বের ৫ জন উঠতি তারকা মহিলা ক্রিকেটারের একজন হিসেবে মনোনয়ন দেয়।
ডাবলিনে জন্ম নেওয়া গ্যাবির বড় বোন রবিন লুইসও ক্লাব ও জাতীয় পর্যায়ে ক্রিকেট খেলেন। তাঁর বাবা অ্যালান লুইস এবং দাদা ইয়ান লুইস উভয়েই আইরিশ পুরুষ দলের খেলোয়াড় ছিলেন এবং ডাবলিনের ওয়াইএমসিএ ক্রিকেট ক্লাবে সদস্য ছিলেন। ২০১৩ সালের নভেম্বরে তারাক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের উদীয়মান খেলোয়াড় সন্ধান করার সময় গ্যাবি প্রথম নির্বাচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
২০১৪ সালে, ইসিবি মহিলা টি-টোয়েন্টি কাপে ইংলিশ কাউন্টি দলের বিপক্ষে খেলার জন্য তিনি আয়ারল্যান্ড দলে স্থান পান। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২০১৪ সালের ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি আন্তর্জাতিক অভিষেক করেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও তিনি অংশগ্রহণ করেন। ২০১৫ সালে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্ব টি-টোয়েন্টি বাছাইপর্বে এবং ভারতে ২০১৬ বিশ্ব টি২০তেও তিনি অংশ নেন। ২০১৮ সালে আইসিসি মহিলা বিশ্ব টুয়েন্টি২০ বাছাইপর্ব ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের আইসিসি মহিলা বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায়ও তিনি আয়ারল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০১৯ সালে নেদারল্যান্ডস মহিলা কোয়াডরেঙ্গুলার সিরিজে তিনি ছয় ম্যাচে ১৮০ রান করে সেরা রান সংগ্রহকারী হন।
গ্যাবি লুইস কেবলমাত্র একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটারই নন, তিনি একজন উদীয়মান নেত্রীও। ক্রিকেটের প্রতি তাঁর অদম্য ভালোবাসা এবং অসাধারণ প্রতিভা তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জগতে একজন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাঁর ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার আইরিশ ক্রিকেট এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য আশাব্যঞ্জক।