মহিলা ক্রিকেট: ইতিহাস, অগ্রগতি ও বর্তমান অবস্থা
নারীদের ক্রিকেট হল ক্রিকেটের একটি জনপ্রিয় রূপ, যেখানে কেবলমাত্র নারী ক্রিকেটাররা অংশগ্রহণ করেন। প্রথম নারী ক্রিকেট খেলার প্রতিবেদন পাওয়া যায় ১৭৪৫ সালের ২৬ জুলাই রিডিং মার্কারি পত্রিকায়। ইয়র্কশায়ারে ১৮৮৭ সালে প্রথম নারী ক্রিকেট ক্লাব ‘হোয়াইট হিদার ক্লাব’ প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নারী ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। ১৮৯৪ সালে অস্ট্রেলিয়ায়, দক্ষিণ আফ্রিকার পোর্ট এলিজাবেথ ও কানাডার ভিক্টোরিয়ায় নারী ক্রিকেট দল গঠিত হয়।
১৯৩৪ সালের ডিসেম্বরে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে প্রথম নারী টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডসও টেস্ট ক্রিকেটে যোগ দেয়। ১৯৭৩ সাল থেকে নারীদের একদিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআই) ক্রিকেটের আয়োজন শুরু হয়, যা নারী ক্রিকেটের জনপ্রিয়তায় নতুন মাত্রা যোগ করে। ওডিআই এর প্রচলনের পর, টেস্ট ক্রিকেটের তুলনায় আটগুণ বেশি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ পর্যন্ত নয়বার মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি সাফল্য অর্জন করেছে। ২০০৪ সালে নারীদের টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটের আবির্ভাব ঘটে। ২০০৯ সালে প্রথম নারীদের বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ১ অক্টোবর ২০১৫ সালে প্রথমবারের মত নারীদের ক্রিকেট র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে। টেস্ট, ওডিআই ও টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ফলাফলকে সমান গুরুত্ব দিয়ে এই র্যাঙ্কিং তৈরি করা হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দল ২০০৭ সালের জুলাই মাসে থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিষেক ঘটায়। ২০১১ সালে মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ৫ম স্থান অর্জনের মাধ্যমে তারা ওডিআই মর্যাদা লাভ করে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত মহিলা টুয়েন্টি২০ এশিয়া কাপে শিরোপা জিতে নেয়। ২০২২ সালে তারা প্রথমবারের মতো মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে।
মহিলা ক্রিকেটের ইতিহাসে বিভিন্ন দেশের অবদান, উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড়দের নাম, বিভিন্ন প্রতিযোগিতার তথ্য এবং বাংলাদেশ মহিলা দলের অগ্রযাত্রা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সংযোজনের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আপনাকে শীঘ্রই আরও সম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে আপডেট করার চেষ্টা করব।