ডঃ খোন্দকার শওকত হোসেন: একজন প্রশাসক ও বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব
ডঃ খোন্দকার শওকত হোসেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট প্রশাসক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে, তার কর্মজীবনে কিছু বিতর্কও জড়িত রয়েছে, যা তাকে প্রশাসনিক দুর্নীতির সাথে জড়িত করে তুলেছে।
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা:
টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার কদিমধল্যা গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান ডঃ খোন্দকার শওকত হোসেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বিএ (অনার্স), এমএ এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি যুক্তরাজ্যের ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিকসে উচ্চতর কোর্স সম্পন্ন করেন।
কর্মজীবন:
১৯৮৩ সালে তিনি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। তার কর্মজীবনে তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও তিনি ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার সহ প্রশাসনের নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশ্বব্যাংক, এডিবি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ইউনিসেফ প্রভৃতি আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথেও তিনি কাজ করেছেন। তিনি ঢাকা ইউনিভার্সিটি অব ইন্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (ডুয়েট)-এর সিন্ডিকেট মেম্বার এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট মেম্বার ছিলেন। তিনি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডঃ আয়েশা-রাজিয়া হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন।
বিতর্ক ও অভিযোগ:
ডঃ খোন্দকার শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তিনটি মামলা করেছে। মামলাগুলোতে তাকে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অবৈধ সম্পদের অধিকারী হওয়ার অভিযোগ আনা হয়। ২০২৪ সালের নভেম্বরে তিনি আমাদের সময় পত্রিকার প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব নেন।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
- ২০১০ থেকে ২০০১৪ সাল পর্যন্ত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন।
- দুদকের তিনটি মামলার মুখোমুখি হতে হয়েছে।
- বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে কাজ করেছেন।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথেও যুক্ত ছিলেন।
এই তথ্য প্রকাশিত সংবাদপত্রের লেখা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। ডঃ খোন্দকার শওকত হোসেনের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য অন্যান্য উৎস পর্যালোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।