আয়েশা বেগম

আপডেট: ১ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৪০ এএম

আয়েশা বেগম নামের একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উল্লেখ বিভিন্ন তথ্যে পাওয়া যাচ্ছে। তাদের সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্যের অভাবে পৃথকভাবে তাদের বিস্তারিত তুলে ধরা সম্ভব হচ্ছে না। প্রাপ্ত তথ্যগুলি নিম্নে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:

প্রথম আয়েশা বেগম:

এই আয়েশা বেগম (১৯২৭-১৯৮৮) একজন সমাজসেবী ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানার খানপুর গ্রামে তার জন্ম। তিনি বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৪ সাল থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। মুসলিম লীগ মহিলা কমিটির চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ ও ডিভিশনাল কাউন্সিলের সদস্য, প্রথম মৌলিক গণতন্ত্রের সদস্য (১৯৬৫), যশোর পৌরসভার কমিশনার, খুলনা জোন শ্রমিক ফেডারেশনের চেয়ারম্যান (১৯৬৭), ঢাকা পৌরসভার কমিশনার (১৯৭৭), মহিলা জাগদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য (১৯৭৮), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ মহিলা সমাজকল্যাণ সমিতির সভানেত্রী, ঢাকা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনার, এবং জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সহ-সভানেত্রী, ১৯৭৯ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি যশোর সাহিত্য সংঘের সদস্য, যশোর মাতৃ ও শিশুমঙ্গল কেন্দ্রের সেক্রেটারি, আপওয়ার সভানেত্রী, যশোর উইমেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল হোমের সেক্রেটারি, যশোর কেন্দ্রীয় জেলের পরিদর্শক ও জেল বোর্ডের সদস্য, পাকিস্তান নারী সমাজকল্যাণ ও সেবাসংঘের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি শতদল নামে একটি মাসিক পত্রিকাও সম্পাদনা করেছিলেন (১৯৫৬-৭১)। ১৯৮৮ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যু হয়।

দ্বিতীয় আয়েশা বেগম:

এই আয়েশা বেগম টেকনাফের নিহত একরামুল হকের স্ত্রী। তার স্বামীর হত্যাকাণ্ডের পর তদন্তের দীর্ঘসূত্রতা এবং ন্যায়বিচারের অভাবে তিনি কষ্টের মধ্যে আছেন বলে জানা যায়।

তৃতীয় আয়েশা বেগম:

এই আয়েশা বেগম (৭৬) মুন্সিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হন। তার কোন স্বামী বা সন্তান নেই এবং তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

চতুর্থ আয়েশা বেগম:

এই আয়েশা বেগম ঢাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে সংঘাতের ঘটনায় নিহত মো. শাহজাহানের মা।

পঞ্চম আয়েশা বেগম:

এই আয়েশা বেগম কক্সবাজারের উখিয়া থানার রহমতের বিল এলাকার এক বৃদ্ধা মহিলা যিনি মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাস করেন। মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধের কারণে তিনি আতঙ্কিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

উপরোক্ত তথ্যগুলি ছাড়াও আরেকটি আয়েশা বেগমের উল্লেখ রয়েছে, যিনি রাজনীতির সাথে জড়িত, তবে তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে আপনাকে অবহিত করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • আয়েশা বেগম নামের একাধিক ব্যক্তির উল্লেখ রয়েছে।
  • প্রথম আয়েশা বেগম (১৯২৭-১৯৮৮) ছিলেন একজন সমাজসেবী ও রাজনীতিবিদ।
  • দ্বিতীয় আয়েশা বেগম টেকনাফের নিহত একরামুল হকের স্ত্রী।
  • তৃতীয় আয়েশা বেগম মুন্সিগঞ্জে গুলিবিদ্ধ ভিক্ষুক।
  • চতুর্থ আয়েশা বেগম ঢাকায় কোটা আন্দোলন সংঘাতে নিহত শাহজাহানের মা।
  • পঞ্চম আয়েশা বেগম কক্সবাজারের উখিয়ায় মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - আয়েশা বেগম

আয়েশা বেগম চোখের সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করছিলেন কিন্তু সুফল পাননি। বিনামূল্যে চক্ষু শিবিরে চিকিৎসা পেয়ে তিনি খুশি।