খামারবাড়ী শব্দটি দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয়েছে প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী। একটি যশোরের মনিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ লাইব্রেরী এবং অপরটি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় অবস্থিত একটি পর্যটন কেন্দ্র।
যশোরের খামারবাড়ী পাবলিক লাইব্রেরী:
১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই লাইব্রেরীটি হরিহর নদীর তীরে অবস্থিত। এটি এলাকার শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জমিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে লাইব্রেরীর তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। লাইব্রেরীর প্রতিষ্ঠায় আব্দুস সাত্তার মোড়ল, শামছুর রহমান, মতিয়ার রহমান খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা আকতার হোসেন খান, লৌলত হোসেন খান, ফজলুর রহমান মোড়লসহ অন্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বর্তমানে লাইব্রেরীতে ৮৩ জন আজীবন সদস্য এবং ২০০ জন সাধারণ সদস্য রয়েছে। লাইব্রেরীতে ২৩৫৮ টি বই রয়েছে।
ভোলার চরফ্যাশন খামারবাড়ী রিসোর্ট:
ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার ‘শারেক খালি’ গ্রামে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই রিসোর্টটি ১৪ একর জমি দিয়ে যাত্রা শুরু করে এবং বর্তমানে ৫০ একর জমির উপর অবস্থিত। এটি বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত। রিসোর্টে ২৩ টি কটেজ, একটি বাংলো, একটি কনফারেন্স রুম, দুটি সুইমিংপুল এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়। ১৬ ডিসেম্বর খামার বাড়ী রিসোর্ট চালু হয়।