খানসামা থানা

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

খানসামা থানা: দিনাজপুরের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কেন্দ্র

বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলায় অবস্থিত খানসামা থানা, উপজেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। ১৮৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই থানাটি খানসামা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করে। এই থানার অধীনে থাকা ইউনিয়নগুলো হলো: আলোকঝাড়ী, ভেড়ভেড়ী, আংগারপাড়া, খামারপাড়া, ভাবকী এবং গোয়ালডিহি।

খানসামা উপজেলার ইতিহাস:

খানসামা নামটির উৎপত্তি নিয়ে বিভিন্ন জনশ্রুতি প্রচলিত। একটি জনশ্রুতি অনুসারে, এক সময় এই এলাকায় একজন ধনী ব্যবসায়ীর (কারো মতে ইংরেজ ব্যবসায়ীর) একজন অত্যন্ত বিশ্বস্ত ও শিষ্টাচারী ভৃত্য ছিলেন, যার নাম থেকেই এই এলাকার নামকরণ হয় 'খানসামা'। ১৮৯১ সালের ২১শে জানুয়ারি খানসামা নামকরণ করা হয়। ১৮৯১ সালে থানা প্রতিষ্ঠার পর, ১৯৮৩ সালে এটিকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়।

খানসামার ভৌগোলিক অবস্থান ও জনসংখ্যা:

খানসামা উপজেলার উত্তরে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ ও নীলফামারী সদর উপজেলা, দক্ষিণে চিরিরবন্দর ও দিনাজপুর সদর উপজেলা, পূর্বে নীলফামারী সদর উপজেলা এবং পশ্চিমে কাহারোল ও বীরগঞ্জ উপজেলা অবস্থিত। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী উপজেলার জনসংখ্যা ছিল ১,৭৮,৩১৪ জন।

খানসামার ঐতিহাসিক স্থাপনা:

খানসামা উপজেলায় বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে, যেমন: জয়গঞ্জ জমিদার বাড়ি এবং আওকরা মসজিদ। জয়গঞ্জ জমিদার বাড়িটি অবহেলার কারণে ধ্বংসের পথে, তবে আওকরা মসজিদটি প্রায় ২৫০ বছরের প্রাচীন এবং ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

শিক্ষা ও অর্থনীতি:

খানসামা উপজেলায় শিক্ষার হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে একটি সরকারি কলেজ এবং বেশ কিছু উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। আলু, ভুট্টা, ধান, গম, পিঁয়াজ, রসুন, কলা ইত্যাদি ফসল চাষ হয়। খানসামা রসুনের জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও ছোট ও মাঝারি আকারের ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

উপসংহার:

খানসামা থানা দিনাজপুর জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কেন্দ্র। ঐতিহাসিক ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির কারণে খানসামা উপজেলা দিনাজপুর জেলার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৮৯১ সালে খানসামা থানা প্রতিষ্ঠিত।
  • খানসামা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান করে।
  • ঐতিহাসিক জয়গঞ্জ জমিদার বাড়ি ও আওকরা মসজিদ অবস্থিত।
  • কৃষি ও ক্ষুদ্র শিল্পের উপর নির্ভরশীল অর্থনীতি।
  • শিক্ষার হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।