খন্দকার হিমেল নামটি দুটি ভিন্ন ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত। একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অপরজন একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র যিনি অপহরণের শিকার হয়েছিলেন।
খন্দকার হিমেল (চলচ্চিত্র নির্মাতা):
এই খন্দকার হিমেল একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি সম্প্রতি ‘জলরঙের ফড়িং’ নামক একটি মিউজিক্যাল ওয়েবফিল্ম নির্মাণ করেছেন। শুভ্র খানের গল্পে নির্মিত এই ওয়েবফিল্মটিতে একজন সিঙ্গেল মাদার ও তার নিঃসঙ্গ বেড়ে ওঠা সন্তানের মধ্যকার দূরত্বের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। ওয়েবফিল্মটিতে পাঁচটি গান ব্যবহার করা হয়েছে। শায়লা খান ও সুপ্রতীম রায়ের মতো অভিনয়শিল্পীরা এতে অভিনয় করেছেন। শায়লা খান ওয়েবফিল্মটির প্রযোজকের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তিন দশক ধরে কানাডা ও আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। তিনি আশির দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। সুপ্রতীম রায় টলিউডের অভিনেতা এবং ‘জলরঙের ফড়িং’ ওয়েবফিল্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অভিষেক হচ্ছে। সঞ্চিতা দত্ত ২০১৭ সালের মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ রানারআপ এবং এই ওয়েবফিল্মে অভিনয় ও গান করেছেন। বেলাল খান ও শানও এই ওয়েবফিল্মে কণ্ঠ দিয়েছেন। বাউল রহমত শাহ দুটি বাউল গান গেয়েছেন। শুভ্র খান গল্প লিখেছেন এবং শান্ত শান সংগীত পরিচালনা করেছেন। এনামুল হক সোহেল চিত্রগ্রহণ, খলিলুর রহমান মেকআপ, এবং কাউসার আহমেদ প্রান্ত সম্পাদনা করেছেন। ওয়েবফিল্মটি শিগগিরই একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে।
খন্দকার হিমেল (অপহরণের শিকার):
এই খন্দকার হিমেল একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী, যিনি রাজধানীর উত্তরার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ বর্ষে পড়ালেখা করছেন। তিনি ব্যবসায়িক কাজে গাজীপুরের সালনা এলাকায় অপহরণের শিকার হয়েছিলেন এবং দুই কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তাকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে র্যাব উদ্ধার করে। অপহরণকারীদের মধ্যে মো. আব্দুল মালেক প্রধান হোতা ছিলেন। র্যাব তাকে সহযোগীদের সাথে গ্রেফতার করে।