কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন: কুষ্টিয়া জেলা, বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বের জন্য এটি বিখ্যাত। ১৭২৫ সালে কুষ্টিয়া নাটোর জমিদারীর অধীনে ছিল এবং পরবর্তীতে ব্রিটিশ শাসনামলে যশোর, পাবনা জেলার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর ১৯৪৭ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে একটি পৃথক জেলা হিসেবে গঠিত হয়। ১৯৮৪ সালে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর পৃথক জেলা হিসেবে গঠিত হলে বর্তমান কুষ্টিয়া জেলার আকার ধারণ করে। এ জেলা ৬ টি উপজেলা, ৭ টি থানা, ৫ টি পৌরসভা, ৬৭ টি ইউনিয়ন পরিষদ, ৭১০ টি মৌজা ও ৯৭৯ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। ২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ২,১৪৯,৬৯২ জন।
কুষ্টিয়া জেলা ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক। লালন শাহের মাজার, শিলাইদহ কুঠিবাড়ি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এই জেলার গৌরব। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিল্পকলা একাডেমি কুষ্টিয়ায় অবস্থিত। এই জেলার কথ্য বাংলাকে বাংলা ভাষার প্রমিত রূপ বলে মনে করা হয়। কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক ভাষা ও প্রমিত ভাষার মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। এখানে বসন্ত উৎসব, নবান্ন উৎসব, পিঠা উৎসব, লালন মেলা, নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ইত্যাদি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষি ও শিল্পের দিক থেকে কুষ্টিয়া জেলা গুরুত্বপূর্ণ। ধান, পাট, তামাক, পান চাষের পাশাপাশি অনেক তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা, বৈদ্যুতিক তার কারখানা, টেক্সটাইল ও হোসিয়ারী শিল্প, চালের মিল, আটা ময়দার মিল এবং অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কুমারগাড়া শিল্প নগরী, বিসিক শিল্পনগরী, এবং ভেড়ামারা ইকোনোমিক জোন এই জেলার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কুষ্টিয়া জেলায় কোন বিমানবন্দর নেই, তবে ভবিষ্যতে বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের দায়িত্ব জেলার সার্বিক প্রশাসনিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করা। এতে জেলা প্রশাসক এবং অন্যান্য সরকারী কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োজিত। জেলার উন্নয়ন, জনসেবা, আইনশৃঙ্খলা সংরক্ষণ এবং বিভিন্ন সরকারী কর্মসূচীর বাস্তবায়ন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের মূল দায়িত্ব। সম্পূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করা সম্ভব হয়নি, আরো বিস্তারিত তথ্য উপলব্ধ হলে আপনাদের অবগত করা হবে।