বীর বিক্রম কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ: মুক্তিযুদ্ধের এক অসামান্য নেতা ও রাজনীতিবিদ
কর্ণেল (অব.) অলি আহমেদ, বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। ১৩ই মার্চ ১৯৩৯ সালে জন্মগ্রহণকারী এই ব্যক্তি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং তার বীরত্বের জন্য বীর বিক্রম খেতাব লাভ করেছিলেন। তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন, যার অবস্থান ছিল চট্টগ্রামের ষোলশহরে। ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনায়, বিশেষ করে মিরসরাইয়ের যুদ্ধে তার অসাধারণ নেতৃত্ব ও সাহসিকতার কথা বিভিন্ন সূত্রে উল্লেখ আছে। স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্নেল পদে উন্নীত হন এবং পরে অবসর গ্রহণ করেন। সেনাবাহিনীতে কর্মজীবন শেষ করে তিনি রাজনীতিতে যোগদান করেন।
তিনি দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এবং যোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। যমুনা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় তার মন্ত্রী থাকাকালীন। ২০০৬ সালের ২৬শে অক্টোবর তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি এ.কিউএম. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সাথে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) গঠন করেন। তবে পরবর্তীতে এলডিপি থেকেও তিনি পৃথক হয়েছেন বলে জানা গেছে।
অলি আহমেদের পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার চন্দনাইশে। তার শিক্ষাজীবনের তথ্যও পাওয়া যায়। তিনি গাছবাড়িয়া নিত্যানন্দ গৌরচন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় হতে মাধ্যমিক পাশ করেছেন। তার পরিবারের তথ্যও পাওয়া যায়; তার বাবার নাম আমানত ছাফা এবং মায়ের নাম বদরুননেছা। তার স্ত্রীর নাম মমতাজ বেগম এবং দুই কন্যা সন্তান আছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও দলের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। সর্বশেষ তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেন।
উল্লেখ্য, প্রদত্ত তথ্য অলি আহমেদের জীবনের সম্পূর্ণ চিত্র তুলে ধরতে সীমিত। আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে এই লেখাটি আপডেট করবো।