বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) একটি উল্লেখযোগ্য নাম। ২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর বিএনপি থেকে আলাদা হয়ে কিছু নেতা-কর্মী মিলে এই দলের যাত্রা শুরু করেন। প্রতিষ্ঠাকালে এলডিপির সাথে ছিলেন একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, অলি আহমেদসহ বিএনপির আরও ২৪ জন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য। তবে ২০০৭ সালে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বিকল্প ধারা নিয়ে পৃথক হয়ে যান। এরপর থেকে দলটির নেতৃত্বে ছিলেন অলি আহমেদ।
আদিপর্ব থেকেই এলডিপি মহাজোটের সহযোগী ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা মহাজোট ছেড়ে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৮ টি আসনে প্রার্থী দিয়ে মাত্র ১টি আসন লাভ করে। অলি আহমেদ চট্টগ্রাম-১৩ আসন থেকে জয়ী হন। ২০১২ সালে এলডিপি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় ঐক্যজোটে যোগ দেয়। ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিল এই জোট, এবং এলডিপিও তাই করে।
২০১৯ সালে দলের নতুন কমিটিতে শাহাদাত হোসেন সেলিম ও অন্যান্য নেতাদের বাদ দেওয়ার পর, তারা দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা দল গঠনের উদ্যোগ নেন। একই নামে নতুন দল গঠনের ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে দুই অংশই বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের সদস্য ছিল। পরে ভাঙ্গন ধরা এলডিপি 'বাংলাদেশ এলডিপি' নামে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে। ২০২২ সালে বিশ দলীয় জোট ভেঙ্গে গেলে এলডিপি বারো দলীয় জোটের সাথে যুক্ত হয়। এলডিপির ইতিহাসে নানা উত্থান-পতন দেখা গেছে। তবে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এলডিপি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।