কমিশনার পদ: বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। জেলা পর্যায়ে ডেপুটি কমিশনার এবং বিভাগীয় পর্যায়ে কমিশনাররা দায়িত্ব পালন করেন। ব্রিটিশ শাসনামলে জেলা কালেক্টর ব্যবস্থা থেকে এই পদের উদ্ভব। ১৭৬৯ সালে সীমিত ক্ষমতাসহ জেলায় সুপারভাইজার নিয়োগের মাধ্যমে শুরু, ১৭৭২ সালে ওয়ারেন হেস্টিংস জেলা কালেক্টর ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। ১৭৮৭ সালে পুনঃপ্রবর্তনের পর কালেক্টরদের বিচারক ও ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়। ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পর বিচার ক্ষমতা কমে, ১৮৩১ সালে পুনরায় লাভ করেন। ব্রিটিশ আমলে অনিয়ন্ত্রিত এলাকায় ডেপুটি কমিশনার, নিয়ন্ত্রিত এলাকায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর ব্যবহৃত হতো। পার্বত্য চট্টগ্রামে ডেপুটি কমিশনার পদ ছিল ব্যতিক্রম। ১৯৬০ সাল থেকে সারাদেশে ডেপুটি কমিশনার পদ চালু। গোড়ার দিকে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও রাজস্ব দেখাশোনা করলেও পরে জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমও যুক্ত হয়। বিশ শতকের গোড়ার দিকে আইনসভার প্রবর্তন এবং বিশেষ বিভাগের সৃষ্টির ফলে ডেপুটি কমিশনারের ভূমিকা কিছুটা কমেছে, তবে আইনশৃঙ্খলা, ভূমি প্রশাসন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিভাগীয় কমিশনার পদ ১৮২৯ সালে সৃষ্টি হয়। রাজস্ব প্রশাসনে নিয়ন্ত্রণের অভাব ও বিচারব্যবস্থা এবং রাজস্ব পদ্ধতির মধ্যে সমন্বয়ের জন্য। প্রাথমিক দায়িত্ব ডেপুটি কমিশনারদের তদারকি করা। উন্নয়নমূলক কাজ এবং দুর্নীতি দমনেও জড়িত। জেলা প্রশাসনে অভিজ্ঞ সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তাদের কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
কমিশনার
মূল তথ্যাবলী:
- ডেপুটি কমিশনার: জেলা প্রশাসনের প্রধান
- কমিশনার: বিভাগীয় পর্যায়ের শীর্ষ প্রশাসক
- ব্রিটিশ আমল থেকে পদের উৎপত্তি
- ১৭৬৯ সালে সুপারভাইজার নিয়োগের মাধ্যমে শুরু
- ১৯৬০ সাল থেকে সারাদেশে ডেপুটি কমিশনার পদ
- বিভাগীয় কমিশনার পদ ১৮২৯ সালে সৃষ্টি