কবির আহমেদ নামটি একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত। তাই, বিভ্রান্তি এড়াতে, প্রথমে আমরা কবির আহমেদের দুটি প্রধান পরিচয় তুলে ধরব।
প্রথম কবির আহমেদ: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন মেজর জেনারেল। তিনি ২০২২ সালের মার্চ থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যোগদানের পূর্বে তিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের পরিচালক ছিলেন। ২০ জুলাই ২০২২-এ তিনি মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হন। বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে পদাতিক কোরে ২৪তম লং কোর্সে কমিশন লাভ করেন। সিলেট সেনানিবাসে ১১ পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার সময় তিনি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ছিলেন। ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (সিটিআইবি) এর পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
দ্বিতীয় কবির আহমেদ: একজন বিখ্যাত বাংলাদেশী ফুটবলার ও কোচ। তিনি পূর্ব পাকিস্তানের কয়েকজন খেলোয়াড়ের একজন যিনি পাকিস্তান জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। কবির, মারী চৌধুরী এবং আশরাফ চৌধুরী ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের কিংবদন্তী আক্রমণাত্মক ত্রয়ী। তিনি ১৯৩৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারী জন্মগ্রহণ করে ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারী মারা যান। তার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৫১ সালে টাউন ক্লাবে। ১৯৫৫ সালে ঢাকা ওয়ান্ডারার্সে যোগদান করেন এবং ঐ বছর লিগ জেতেন। পরে ঢাকা মোহামেডানে যোগ দেন। ১৯৫৮ সালে, কবির, মারী এবং আশরাফের নেতৃত্বে মোহামেডান ভারতের আইএফএ শিল্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছায়। তিনি ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৯ পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করে জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫৮ সালে টোকিওতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে পাকিস্তান জাতীয় দলে ছিলেন এবং সহ-অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রথম প্রধান কোচ নিযুক্ত হন। তার দীর্ঘ ও সম্মানজনক ক্যারিয়ারের জন্য ২০০১ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার লাভ করেন। ২০০১ সালে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন।