কক্সবাজার ও রামু: দুই অঞ্চলের সমন্বিত এক ঝলক
বাংলাদেশের পর্যটন খাতের অন্যতম আকর্ষণ কক্সবাজার জেলা। এর অন্তর্গত রামু উপজেলা ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল। কক্সবাজারের সুবিশাল সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য্যের পাশাপাশি রামুর প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার ও ঐতিহাসিক স্থানাবলী পর্যটকদের মনোযোগ আকর্ষণ করে।
কক্সবাজার:
কক্সবাজার জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত। এটি বাংলাদেশের সর্ব-দক্ষিণের জেলা। জেলার আয়তন ২৪৯১.৮৬ বর্গ কিলোমিটার, এবং ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী জনসংখ্যা ২২,৮৯,৯৯০। জনসংখ্যার ৯৩% মুসলিম, ৫% হিন্দু, এবং ২% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন সমুদ্র সৈকতের জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও, সেন্টমার্টিন দ্বীপ, হিমছড়ি, ইনানী বীচ, মহেশখালী দ্বীপ, ইত্যাদি পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে, এটি চট্টগ্রামের অংশ ছিল এবং ১৯৮৪ সালে পৃথক জেলা হিসেবে গঠিত হয়।
রামু:
কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার আয়তন ৩৯১.৭১ বর্গ কিলোমিটার। এটি কক্সবাজার সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জনসংখ্যা ২,৬৬,৬৪০। জনসংখ্যার ৯২% মুসলিম, ৪% হিন্দু, ৩% বৌদ্ধ, এবং ১% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। রামু থানা ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে উপজেলায় উন্নীত হয়। রামু তার প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার এবং রামকোট ঐতিহাসিক স্থানের জন্য বিখ্যাত। মুঘল আমলে এখানে উদ্ধারকৃত ব্রোঞ্জের বুদ্ধমূর্তি বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ।
উল্লেখযোগ্য দিক:
- কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত বিশ্বে অনন্য।
- রামুতে প্রাচীন বৌদ্ধ সংস্কৃতির প্রমাণ রয়েছে।
- উভয় স্থানই পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।
- কক্সবাজারের ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে।
- রামুর জনসংখ্যাগত বৈচিত্র্য লক্ষণীয়।
আরো তথ্যের জন্য অপেক্ষা করুন।