দুইজন ওয়াহিদুর রহমান সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। প্রথমজন হলেন অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ওয়াহিদুর রহমান, একজন ঢাকার অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ। তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশনে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন এবং পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মিরপুর ও শান্তিনগরে ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখেন।
দ্বিতীয়জন হলেন অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ ওয়াহিদুর রহমান, যিনি সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোমেডিসিন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। ২০২৩ সালের ২২শে জুন হজযাত্রার সময় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডাঃ সামন্ত লাল সেন শোক প্রকাশ করেন। তিনি সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন এবং একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি ১৬ জুন থেকে নিখোঁজ ছিলেন এবং ৫ দিন পর তার মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
এছাড়াও, তৃতীয় একজন ওয়াহিদুর রহমান সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে, যিনি একজন অভিযান্তরিক এবং LGED-এর প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন। তিনি ১৯৫৩ সালের ১২ই ডিসেম্বর কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে স্নাতক এবং সাউথাম্পটন ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি LGED-এ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বেশ কিছু পুরষ্কার অর্জন করেছেন। তিনি বিভিন্ন দেশে সেমিনার ও সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন এবং অনেক পেশাদার সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন।
শেষ অবধি, আরেকজন ওয়াহিদুর রহমান সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে, যিনি বাউল গীতির জন্য পরিচিত। তিনি ৯৭৬ টিরও বেশি গান রচনা করেছেন এবং ঢাকার উৎস প্রকাশন তার ৯৭০টি গান নিয়ে 'শেখ ওয়াহিদ গীতি সমগ্র' প্রকাশ করে। তার গানগুলি বেতার ও টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। তিনি একজন শিল্পপতি ও ব্যাংকার হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তিনি ন্যাশনাল সিরামিকসসহ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং পূবালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০২৩ সালে তিনি মারা যান।