এম আমানুল হক নামটি দুই ব্যক্তির সাথে সম্পৃক্ত। একজন বাংলাদেশী আলোকচিত্রশিল্পী এবং অন্যজন বাংলাদেশের তুরস্কস্থ রাষ্ট্রদূত।
প্রথম এম আমানুল হক:
এই আমানুল হক (১৯২৫-২০১৩) ছিলেন একজন বিখ্যাত বাংলাদেশী আলোকচিত্রশিল্পী। তিনি ১৯২৫ সালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি আঁকাআঁকির প্রতি আগ্রহী ছিলেন এবং পরবর্তীতে আর্ট কলেজে লেখাপড়া করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে তিনি আর্টিস্ট কাম ফটোগ্রাফার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি তার ক্যামেরা ব্যবহার করে ঐতিহাসিক ছবি তুলেছিলেন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে অমূল্য প্রমাণ হিসেবে থেকে গেছে। বিশেষ করে, শহীদ রফিকউদ্দীনের মাথায় গুলিবিদ্ধ ছবিটি আন্দোলনের বর্বরতার প্রমাণ দাড়িয়েছে। তিনি সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালি সহ বিভিন্ন চলচ্চিত্রে স্থির চিত্রগ্রাহক হিসেবেও কাজ করেছেন। শেখ মুজিবুর রহমান ও তাজউদ্দীন আহমদের ছবিও তিনি তুলেছেন। ২০১১ সালে তাকে একুশে পদক প্রদান করা হয়।
দ্বিতীয় এম আমানুল হক:
এই আমানুল হক বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা এবং বর্তমানে তুরস্কস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। তিনি বিসিএস (পররাষ্ট্র ক্যাডার) ১৮তম ব্যাচের কর্মকর্তা। নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল এবং জেদ্দায় ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদর দপ্তরে তিনি বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী এম আমানুল হক, ২০২০ সাল থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাষ্ট্রাচারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
উভয় আমানুল হকের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই নিবন্ধটি আপডেট করব।