এনামুল হক দোলন: স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে আলোচিত ব্যক্তি
এনামুল হক খান দোলন দুবাইভিত্তিক সোনা চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আলোচিত এক ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত চালিয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, ২০১৯ সালে দুবাই ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বাংলাদেশের বিএফআইইউ এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে তার সোনা চোরাচালানের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রেরণ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হলেও তৎকালীন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের হস্তক্ষেপে তা ধামাচাপা পড়ে যায়।
সূত্রগুলো আরও জানায়, দোলন ঢাকার বায়তুল মোকাররম মার্কেটে ‘গোল্ড হাউস’ নামে একটি দোকানের মাধ্যমে পাইকারি সোনার ব্যবসা করতেন। ‘শারমিন জুয়েলার্স’ ও ‘ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভাস’ নামে তার আরও দুটি প্রতিষ্ঠান ছিল। শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, টনে টনে সোনা ক্রয়-বিক্রয় করার পরও দোলনের কোনো বৈধ আমদানির রেকর্ড নেই। তদন্তে উঠে আসে যে, তিনি প্রায় প্রতি সপ্তাহে দুবাই যাতায়াত করতেন এবং সেখানে স্থায়ী আবাসিক কার্ডধারী ছিলেন। চোরাচালানের মাধ্যমে তিনি অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন, ঢাকায় একাধিক বাড়ি-ফ্ল্যাট এবং নরসিংদীতে বিলাসবহুল বাংলো রয়েছে।
বিএফআইইউ নতুন করে সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও চোরাচালানের তথ্য অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে, দোলনের সোনা চোরাচালান ও অর্থ পাচার সংক্রান্ত অনেক নথি গায়েব হয়েছে বলেও খবর পাওয়া যায়। শুল্ক গোয়েন্দার অভিযানে এখন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এনামুল হক দোলনের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। আরও তথ্য পাওয়ার পর আমরা আপনাকে আপডেট করব।