এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেড (এএমসিএল) নামে পরিচিত প্রাণ, বাংলাদেশের একটি বৃহৎ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। এটি প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অধীনে কার্যকরী। ১৯৮৫ সালে আমজাদ খান চৌধুরী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত, প্রাণ প্রাথমিকভাবে রজনীগন্ধা ফুল, পেঁপে, কলা ও আনারস চাষাবাদ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে, এটি বিভিন্ন ধরণের খাদ্যপণ্য, পানীয়, প্লাস্টিক পণ্য এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য উৎপাদন করে। প্রাণের উৎপাদিত পণ্য দেশের ১৩টি স্থানে অবস্থিত ২৩টি কারখানায় তৈরি হয় এবং ১৪৫ টির বেশি দেশে রপ্তানি করা হয়।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রধান কার্যক্রম হলো খাদ্য ও প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন। গ্রুপটির ৫০০ টিরও বেশি খাদ্য পণ্য এবং ১৫০০ টিরও বেশি প্লাস্টিক পণ্য আছে। নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় অবস্থিত ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক এ গ্রুপের সর্বাধিক পণ্য উৎপাদিত হয়। গ্রুপটি রংপুরে ১৯৮১ সালে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড (আরএফএল) হিসেবে যাত্রা শুরু করে। বাবার মৃত্যুর পর ২০১৬ সালে আহসান খান চৌধুরী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান হন।
প্রাণ সরকারিভাবেও স্বীকৃতি লাভ করেছে। জাতীয় রপ্তানি বৃদ্ধি এবং মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় রপ্তানি খাতে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক প্রাপ্ত হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন অর্থবছরে সর্বোচ্চ মূল্য সংযোজন কর পরিশোধকারী হিসেবে সরকার কর্তৃক সম্মাননা পেয়েছে। গ্রুপের কারখানাগুলোতে ৮৫ হাজারের বেশি লোক কাজ করে এবং প্রায় ৭ লাখ মানুষের জীবিকা এর উপর নির্ভরশীল।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে, এএমসিএল প্রাণ শেয়ারহোল্ডারদের ২০২২-২৩ হিসাব বছরের জন্য ৩২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে, প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতি শেয়ার আয় ১ টাকা ৭২ পয়সা হয়েছে।