প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ: বাংলাদেশের এক অগ্রণী কনগ্লোমারেট
১৯৮১ সালে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড (আরএফএল) হিসেবে যাত্রা শুরু করে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি আজ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ কনগ্লোমারেটে পরিণত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শুদ্ধ পানি সরবরাহ ও দরকারী সেচ যন্ত্রপাতি সরবরাহের উদ্দেশ্যে শুরু হলেও, আজ এটি খাদ্য, প্লাস্টিক, হালকা প্রকৌশল, স্বাস্থ্যসেবা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
প্রাণ-আরএফএল এর দুটি প্রধান শাখা:
- প্রাণ ফুডস: বাংলাদেশের বৃহত্তম খাদ্য ও পানীয় ব্র্যান্ড হিসেবে প্রাণ ফুডস দেশে এবং বিদেশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। এটি কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং রপ্তানিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
- আরএফএল প্লাস্টিকস: বিভিন্ন ধরণের প্লাস্টিক ও লোহার জিনিসপত্র উৎপাদনে আরএফএল প্লাস্টিকস বাংলাদেশের বাজারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
উল্লেখযোগ্য তথ্যাবলী:
- ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠা।
- প্রতিষ্ঠাতা: মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরী।
- বর্তমান চেয়ারম্যান ও এমডি: আহসান খান চৌধুরী
- দেশের ১৩টি স্থানে ২৩টি কারখানা।
- ১৪৫ টিরও বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি।
- এক লাখের ও বেশি কর্মচারী।
- জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রাপ্তি (বহুবার)।
- সিএসআর কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সামাজিক কল্যাণে সক্রিয়।
- আরএফএল eShop: অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম।
প্রাণ-আরএফএলের সামাজিক দায়বদ্ধতা:
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, সম্প্রদায় উন্নয়ন এবং পরিবেশ সংরক্ষণ সহ বিভিন্ন সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
প্রাণ-আরএফএলের ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি:
বিশ্ববাজারে আরও প্রসার এবং বিশ্বের শীর্ষ কয়েকটি ব্র্যান্ডের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার লক্ষ্য রাখছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।