ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF), বাংলায় যা ইসরাইলি সেনাবাহিনী নামে পরিচিত, হল ইসরায়েল রাষ্ট্রের জাতীয় সামরিক বাহিনী। এটি তিনটি প্রধান শাখা নিয়ে গঠিত: ইসরাইলি স্থলবাহিনী, ইসরাইলি বিমান বাহিনী এবং ইসরাইলি নৌবাহিনী। ১৯৪৮ সালের ২৬শে মে প্রথম প্রধানমন্ত্রী দাভিদ বেন-গুয়েরিয়নের নির্দেশে ইস্রায়েলের স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই ইতোমধ্যে বিদ্যমান আধাসামরিক বাহিনী যেমন হাগানাহ, ইরগুন এবং লেহি থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত সদস্যদের নিয়ে আইডিএফ গঠিত হয়।
আইডিএফ ইসরায়েলের সাথে জড়িত প্রতিটি সশস্ত্র সংঘাতে অংশগ্রহণ করেছে। প্রাথমিকভাবে উত্তরে লেবানন ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে, পূর্বে জর্ডান ও ইরাকের বিরুদ্ধে এবং দক্ষিণে মিশরের বিরুদ্ধে কাজ করেছিল। ১৯৭৯ সালে মিশর-ইসরাইল শান্তি চুক্তি ও ১৯৯৪ সালে ইসরাইল-জর্ডান শান্তি চুক্তির পর, IDF তার দৃষ্টি দক্ষিণ লেবানন ও ফিলিস্তিনি অঞ্চলে স্থানান্তর করে। ২০০০ সালে দক্ষিণ লেবানন এবং ২০০৫ সালে গাজা থেকে IDF সেনা প্রত্যাহার করে। তবে, গাজায় হামাসের সাথে এবং সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের ফলে সৃষ্ট অস্থিরতার কারণে ইসরাইল-সিরিয়ার সীমান্তে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে চলেছে।
আইডিএফ নারী সেনাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম অনন্য সামরিক বাহিনী। ইসরায়েলি অর্থনীতি ও রাজনীতিতে এর প্রভাব রয়েছে। এটি ইসরায়েলের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে। ইসরাইলি সামরিক সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে মারকাভা যুদ্ধ ট্যাংক, আয়রন ডোম, স্পাইক অ্যান্টি-ট্যাংক মিসাইল, ও উজি বন্দুক ইত্যাদি। ১৯৪৮ সাল থেকে IDF-এর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৬৭ সাল থেকে IDF-এর পারমাণবিক অস্ত্রের ক্ষমতা থাকার ধারণা করা হয়।
ফিলিস্তিনে IDF-এর কর্মকাণ্ড ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে, IDF-এর গঠন, কাঠামো, নিয়োগ প্রক্রিয়া, প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য উপলব্ধ হলে আমরা আপনাদের জানাব।