সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম: একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ
৪ অক্টোবর ১৯৪৯ সালে জন্মগ্রহণকারী সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনীতিবিদ। তিনি কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। স্বাধীনতা যুদ্ধে অসাধারণ সাহসিকতার জন্য তিনি বীর প্রতীক খেতাব লাভ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৯৬ সালে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
রাজনৈতিক জীবনে, ২০০৬-০৮ সালের রাজনৈতিক সংকটের সময় তিনি বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০১৮ সালে কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগদান করেন। ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে 'যুক্তফ্রন্ট' নামক একটি রাজনৈতিক জোটের নেতৃত্বে তিনি কক্সবাজার-১ আসন থেকে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে, অসহযোগ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ বিলুপ্ত হওয়ার ফলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।
তিনি একজন লেখক ও বক্তা এবং ঢাকার সংবাদপত্র এবং প্রোব নামের একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় নিয়মিত লেখা লিখতেন। অবসর জীবনে তিনি মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিমের পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার উত্তর বুড়িশ্চর গ্রামে। তার বাবার নাম এস এম হাফেজ আহমেদ এবং মায়ের নাম শামসুন নাহার। তার স্ত্রীর নাম ফোরকান ইব্রাহিম। তাদের এক মেয়ে এবং এক ছেলে আছে। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ সালে, বিশেষ সুরক্ষা বাহিনী তাকে বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য বঙ্গভবনে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন: একজন লেখক ও কবি
১৭ নভেম্বর ১৯৮৫ সালে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার ৬ নং মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ, হরিশংকরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণকারী মোঃ ইব্রাহিম হোসেন একজন প্রতিভাবান লেখক ও কবি। তিনি তাঁর সৃজনশীল লেখালেখির মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে অবদান রেখেছেন। তিনি ৩০০০ এর অধিক গল্প ও কবিতা রচনা করেছেন এবং ৪০ টিরও বেশি যৌথ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। তার কিছু উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা হলো 'মিষ্টি প্রেমের ছোঁয়া', 'জান্নাতের ফুল', 'বিদ্রোহী কন্যা', 'রূপসী পল্লী', 'মদিনার ফুল', 'বাবা মানে বৃক্ষ ছায়া', 'রক্তাক্ত কারবালা' ইত্যাদি। তিনি 'প্রেমের সম্ভাষণ', 'বৈচিত্র্যময় জীবন', 'মমতাময়ী মা জননী' নামক একক কাব্যগ্রন্থও প্রকাশ করেছেন। উপন্যাস 'ইতি কথা' ও 'অভিলাষী মন'ও তার লেখা। তিনি এখনও লেখালেখি অব্যাহত রেখেছেন।
মোহাম্মদ ইব্রাহিম: একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা
১ জুন ১৯৩৫ সালে জন্মগ্রহণকারী এবং ২৫ মার্চ ২০০৮ সালে মৃত্যুবরণকারী মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে অসাধারণ বীরত্বের জন্য বীর বিক্রম খেতাব লাভ করেন। তিনি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। যশোরের বেনাপোল, জামালপুরের কামালপুর, মৌলভীবাজারের ধলই বিওপি, সিলেট এমসি কলেজসহ বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সিলেটের চারগ্রাম ও আটগ্রামে পাকিস্তানী সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তার অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বীর বিক্রম খেতাব পান। তার বাবার নাম আইয়ুব আলী এবং মায়ের নাম হালিমা খাতুন। তার স্ত্রীর নাম সাফিয়া বেগম। তার ছয় মেয়ে এবং এক ছেলে ছিল।