ইঞ্জিনিয়ার ইদ্রিস খান

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২:৫৭ পিএম

ইঞ্জিনিয়ার ইদ্রিস খান নামটি দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে বলে মনে হচ্ছে। উপলব্ধ তথ্য থেকে দুটি ইদ্রিস খানের উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে। প্রথম ইঞ্জিনিয়ার ইদ্রিস খান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। দ্বিতীয় ইঞ্জিনিয়ার ইদ্রিস খান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখানে উপস্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার ইদ্রিস খান:

মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী খান (মৃত্যু: ৩১ মার্চ, ১৯৭২) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত ছিলেন। তার জন্ম মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামে। ১৯৭১ সালে জয়পুরহাট চিনিকলে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে প্রতিরোধযুদ্ধে যোগ দেন। বৃহত্তর বগুড়া ও রাজশাহী জেলায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সফল অ্যামবুশে তিনি নেতৃত্ব দেন। মুক্তিবাহিনীর ৭ নম্বর সেক্টরের হামজাপুর সাব-সেক্টরে সাব-সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১০ ডিসেম্বর দিনাজপুর জেলার বিরলে এক যুদ্ধে আহত হন। তিনি ২৫ মে ১৯৭১ সালে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার গোবিন্দপুরে পার্বতীপুর-সান্তাহার রেলপথে চলন্ত ট্রেনে অ্যামবুশ চালান, যাতে প্রায় ৮০ জন পাকিস্তানি সেনা ও সশস্ত্র বিহারি হতাহত হয়।

অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ার ইদ্রিস খান:

গাজীপুর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত একটি আলোচনা সভায় ইঞ্জিনিয়ার ইদ্রিস খান উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে, এ ইদ্রিস খানের অন্যান্য তথ্য বর্তমানে উপলব্ধ নয়। আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে আপডেট দিব।

মূল তথ্যাবলী:

  • বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার ইদ্রিস আলী খান বীর বিক্রম খেতাব পেয়েছিলেন।
  • তার জন্ম মুন্সীগঞ্জ জেলায়।
  • তিনি মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
  • তিনি জয়পুরহাট ও পাঁচবিবি উপজেলায় সফল অভিযান পরিচালনা করেন।
  • একটি আলোচনা সভায় গাজীপুরে অন্য একজন ইঞ্জিনিয়ার ইদ্রিস খানের উপস্থিতি ছিল।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - ইঞ্জিনিয়ার ইদ্রিস খান