ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (Premier League), ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবল ক্লাবদের শীর্ষ স্তরের লিগ, ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত। ২০টি ক্লাবের অংশগ্রহণে এ লিগে দ্বৈত রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে প্রতি মৌসুমে ৩৮০টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ১৩টি শিরোপা জয়ের মাধ্যমে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ক্লাব। ম্যানচেস্টার সিটি ৭টি ও চেলসি ৫টি শিরোপা জিতেছে। ২০২২-২৩ মৌসুমে ৮৯ পয়েন্ট নিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি চ্যাম্পিয়ন হয়। আর্সেনাল রানার-আপ হয়। ৮০ এর দশকে ইংলিশ ফুটবলে গুন্ডাগিরি ও স্টেডিয়ামের অব্যবস্থা ছিল। ১৯৮৫ সালের হাইসেল দুর্ঘটনা ইংলিশ দলগুলোকে ইউরোপীয় খেলায় নিষিদ্ধ করেছিল। ১৯৯০ সালে টেলরের রিপোর্ট স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন নির্দেশ করে এবং টেলিভিশন সম্প্রচারের বর্ধিত গুরুত্ব লিগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করে। ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠার পর প্রিমিয়ার লিগ দ্রুত বিশ্বের অন্যতম লাভজনক ফুটবল লিগে পরিণত হয়েছে। এ লিগে ইংল্যান্ড ও বিশ্বের অনেক শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় খেলে। বিদেশি খেলোয়াড়দের সংখ্যা বর্তমানে অনেক বেশি। প্রিমিয়ার লিগের টিভি সম্প্রচারস্বত্ত্ব বিক্রি থেকে আয় লিগের দলগুলোর মধ্যে সমানভাবে বণ্টন করা হয় না। শীর্ষ দলগুলো অনেক বেশি আয় করে। টেলর রিপোর্টের পর স্টেডিয়ামগুলোতে উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু হয়। অ্যালান শিয়ারার ২৬০ গোলের সাথে প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা। প্রিমিয়ার লিগের আয় ইউরোপের অন্যান্য শীর্ষ লিগের তুলনায় অনেক বেশি। রেলিগেশনের শিকার দলগুলোকে

প্যারাসুট পেমেন্ট

প্রদান করা হয়। এই পেমেন্টের ফলে শীর্ষ লিগ ও নিচের লিগের দলগুলোর মধ্যে অর্থের ব্যবধান বৃদ্ধি পায়। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে কোন ইংরেজ ম্যানেজার এখনো চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত ইংলিশ ফুটবলের শীর্ষ লিগ
  • ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সবচেয়ে সফল ক্লাব
  • ২০টি ক্লাব, ৩৮০ ম্যাচ প্রতি মৌসুমে
  • টেলিভিশন সম্প্রচারে লিগের বিপুল জনপ্রিয়তা
  • বিদেশি খেলোয়াড়দের প্রাধান্য
  • রেলিগেশন ও প্যারাসুট পেমেন্ট