আন্তোনিও গুতেরেস: একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও জাতিসংঘের মহাসচিব
আন্তোনিও ম্যানুয়েল দে অলিভেরা গুতেরেস (António Manuel de Oliveira Guterres) একজন বিশিষ্ট পর্তুগীজ রাজনীতিবিদ, কূটনীতিবিদ এবং বর্তমানে জাতিসংঘের মহাসচিব। ৩০ এপ্রিল, ১৯৪৯ সালে লিসবনে জন্মগ্রহণকারী গুতেরেস পর্তুগালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী (১৯৯৫-২০০২) হিসেবেও পরিচিত। তিনি ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা:
লিসবনে জন্মগ্রহণকারী গুতেরেসের শৈশব ও কিশোরকাল লিসবনেই অতিবাহিত হয়। লিসিও দে ক্যামোস (বর্তমানে মাধ্যমিক বিদ্যালয়) থেকে ১৯৬৫ সালে স্নাতক হন এবং দেশের সেরা ছাত্র হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন। পরে তিনি ইনস্টিটুটো সুপেরিয়র টেকনিকো থেকে পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন (১৯৭১)। এরপর তিনি সিস্টেম তত্ত্ব ও টেলিযোগাযোগ সংকেত বিষয়ে শিক্ষকতা করেন।
রাজনৈতিক জীবন:
১৯৭৪ সালে পর্তুগীজ সমাজতান্ত্রিক দলে যোগদানের মাধ্যমে গুতেরেসের রাজনৈতিক জীবনের সূত্রপাত হয়। কার্নেশন বিপ্লবের পর সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ শুরু করেন। ১৯৭৪ ও ১৯৭৫ সালে শিল্পসচিব, ১৯৭৬ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত লিসবন ডেপুটি এবং পর্তুগীজ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। ১৯৯২ সালে সমাজতান্ত্রিক দলের মহাসচিব নির্বাচিত হন এবং ১৯৯৫ সালে পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী হন। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বাজেট ঘাটতি কমানো এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেন। ১৯৯৯ সালে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন, কিন্তু ২০০১ সালে স্থানীয় নির্বাচনে দলের ব্যর্থতার পর পদত্যাগ করেন। ২০০৫ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত সোশ্যালিস্ট ইন্টারন্যাশনালের সভাপতি ছিলেন।
জাতিসংঘে অবদান:
২০০৫ সালে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। হাইকমিশনার হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শরণার্থীদের সহায়তা করেন। তিনি সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সাধন করেন। ২০১৬ সালের অক্টোবরে তাকে জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠা, টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন।
ব্যক্তিগত জীবন:
গুতেরেস ১৯৭২ সালে লুইসা অ্যামেলিয়া গুইমারায়েজ ই মেলোর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। ১৯৯৮ সালে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুর পর ২০০১ সালে তিনি ক্যাটরিনা মার্কুয়েস দে আলমেইডা ভাজ পিন্টোকে বিয়ে করেন।
সম্মাননা ও পুরষ্কার:
গুতেরেস বিভিন্ন সম্মাননা ও পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন।
আন্তোনিও গুতেরেস (জাতিসংঘের মহাসচিব)
["আন্তোনিও গুতেরেস পর্তুগালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব।", "তিনি ১৯৪৯ সালে লিসবনে জন্মগ্রহণ করেন।", "তিনি ২০০৫ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ছিলেন।", "গুতেরেস শান্তি প্রতিষ্ঠা, টেকসই উন্নয়ন, এবং মানবাধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।"]
["আন্তোনিও গুতেরেস: একজন বিশিষ্ট পর্তুগীজ রাজনীতিবিদ ও জাতিসংঘের মহাসচিব; জন্ম, শিক্ষা, রাজনৈতিক জীবন, জাতিসংঘে অবদান এবং ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।"]
["জাতিসংঘ", "জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর)", "সোশ্যালিস্ট ইন্টারন্যাশনাল", "পর্তুগীজ সমাজতান্ত্রিক দল"]
["আন্তোনিও গুতেরেস", "ভার্জিলিও ডায়াস গুতেরেস", "ইল্দা কান্ডিডা দে অলিভেইরা", "জর্জ স্যাম্পাইয়ো", "আনিবাল কাভাকো সিলভা", "হোসে ম্যানুয়েল ডুরাও বারোসো", "এডুয়ার্ডো ফেরো রড্রিগুয়েজ", "বান কি মুন", "লুইসা অ্যামেলিয়া গুইমারায়েজ ই মেলো", "ক্যাটরিনা মার্কুয়েস দে আলমেইডা ভাজ পিন্টো", "পেড্রো গুইমারায়েজ ই মেলো গুতেরেস", "মারিয়ানা গুইমারায়েজ ই মেলো দে অলিভেইরা গুতেরেস", "হোসে কার্লোস দা কস্তা রামোস"]
["লিসবন", "পোর্তো", "কাস্তেলো ব্রাঙ্কো", "লন্ডন"]
["আন্তোনিও গুতেরেস", "জাতিসংঘ", "মহাসচিব", "পর্তুগাল", "রাজনীতি", "কূটনীতি", "শরণার্থী", "মানবাধিকার"]