সলিমপুর: চট্টগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন হল সলিমপুর। ৪৪৫৩ একর (১৮.০২ বর্গ কিলোমিটার) আয়তনের এই ইউনিয়নটি সীতাকুণ্ড উপজেলার সবচেয়ে ছোট ইউনিয়ন। ২০২৩ সালের হিসেব অনুযায়ী, এখানকার জনসংখ্যা ৫২,০৫০ জন, যার মধ্যে পুরুষ ২৬,৭৫০ এবং মহিলা ২৫,৩০০ জন।
ভৌগোলিক অবস্থান:
সীতাকুণ্ড উপজেলার সর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত সলিমপুর ইউনিয়ন। উপজেলা সদর থেকে এর দূরত্ব ২৯ কিলোমিটার। এ ইউনিয়নের উত্তরে ভাটিয়ারী ইউনিয়ন, পূর্বে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড ও ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড, দক্ষিণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড ও ১০নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড এবং পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর। বৈরাগ্য খাল, চ্যালদাতলী ছড়া, সোনাইছড়ি খাল, কালীর ছড়া এবং টিএনটি ছড়া ইউনিয়নটির উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
প্রশাসনিক বিভাগ:
সলিমপুর ইউনিয়ন সীতাকুণ্ড উপজেলার আওতাধীন ১০নং ইউনিয়ন পরিষদ। এর উত্তরাংশ সীতাকুণ্ড মডেল থানার আওতাধীন এবং দক্ষিণভাগের কিছু অংশ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আকবর শাহ থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৮১নং নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-৪ এর অংশ। এটি উত্তর সলিমপুর, দক্ষিণ সলিমপুর, লতিফপুর, জঙ্গল সলিমপুর ও জঙ্গল লতিফপুর এ ৫টি মৌজায় বিভক্ত।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য:
সলিমপুর ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ৬৫.২২%। এ ইউনিয়নে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। এছাড়াও রয়েছে ১টি ক্যাডেট কলেজ, ১টি নার্সিং কলেজ, ১টি মাদ্রাসা, ৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৯টি মসজিদ, ৬টি ঈদগাহ ও ৫টি মন্দির রয়েছে।
যোগাযোগ ও অর্থনীতি:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ (কৈবল্যধাম স্টেশন) সলিমপুর ইউনিয়নের প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম। ফৌজদারহাট বাজার, ফকিরহাট বাজার, পাক্কা রাস্তার মাথা বাজার, স্টেশন বাজার এবং বাংলা বাজার এখানকার প্রধান প্রধান হাট/বাজার।
জঙ্গল সলিমপুর:
এই ইউনিয়নের একটি অংশ জঙ্গল সলিমপুর নামে পরিচিত যা একসময় সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত ছিল। বর্তমানে সরকার সেখানে উন্নয়নের একটি মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার স্থানান্তর, স্পোর্টস ভিলেজ, ইকোপার্ক, বিশ্বমানের হাসপাতাল, আইকনিক মসজিদ, বেতার ভবন, জাতীয় তথ্যকেন্দ্র এবং নভোথিয়েটার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে, জমি দখল এবং পাহাড় কাটার বিষয়টি এখনো সমাধানের অপেক্ষায় আছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের সৃষ্টির আশা করা হচ্ছে।
আরও তথ্য:
সলিমপুর ইউনিয়ন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে, আমরা এই নিবন্ধটি আপডেট করব।