সরকারি দমন

সরকারি দমন: একটি ভয়াবহ বাস্তবতা

২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বাংলাদেশে সরকারি দমন-পীড়নের এক ভয়াবহ চিত্র দেখা দিয়েছে। বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভূতপূর্ব নির্যাতন, গ্রেফতার, হত্যা ও গুমের ঘটনা ঘটছে। লেখাটিতে জিসান, মেহেদী হাসান রাব্বি, নুরুজ্জামান জনি, ওয়াসিম আকরামসহ বহু নেতাকর্মীর নাম উঠে এসেছে, যারা এই দমনের শিকার হয়েছেন। ওয়াসিম আকরাম চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ হিসেবে উল্লেখিত হলেও তাঁর নাম ইতিহাসে যথাযথভাবে স্থান পায়নি বলে লেখক অভিযোগ করেছেন। জনির মৃত্যুতে ১৫টি গুলির কথা উল্লেখ করে লেখক এটিকে একটি আদর্শকে ধ্বংস করার নৃশংস প্রচেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এছাড়াও, লেখক ১ হাজার ৫৫১ জন বিএনপি নেতাকর্মীর মৃত্যু, ৬০০ এর অধিক গুম, এবং প্রায় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার মামলার কথা উল্লেখ করেছেন। ছাত্রদলের নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও তাদের উপর চালানো নির্যাতন ও অবিচারের কথাও উল্লেখযোগ্যভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস ও অধ্যাপক শামীমা সুলতানার সাহসী অবস্থান এবং সানিয়াতের সাহসী আচরণের কথাও লেখাটিতে উঠে এসেছে। লেখকের মতে, এই দমন-পীড়ন শুধু বিএনপির বিরুদ্ধেই নয়, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিরুদ্ধে একটি ব্যাপক আক্রমণ। বিএনপি'র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের উপর নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার বিষয়টিও উল্লেখযোগ্যভাবে উঠে এসেছে। সার্বিকভাবে, লেখাটি সরকারি দমন-পীড়নের একটি চিত্র তুলে ধরে, যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর সরকারি দমন বেড়েছে।
  • বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন, গ্রেফতার, হত্যা ও গুমের ঘটনা।
  • ১৫০০ এর অধিক বিএনপি নেতাকর্মীর মৃত্যু ও ৬০০ এর অধিক গুমের ঘটনা।
  • প্রায় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার মামলা দায়ের।
  • ছাত্রদলের নেতাদের ত্যাগ ও অবদান অস্বীকৃত।
  • গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ে বিএনপির অবদান।

গণমাধ্যমে - সরকারি দমন

সরকারের দমন-পীড়ন বৃদ্ধি পাচ্ছে।