শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি

আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২:৪৩ এএম

শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি: একজন সাহসী শিক্ষার্থী নেত্রীর জীবন ও আন্দোলন

শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের একজন প্রতিভাবান ও সক্রিয় শিক্ষার্থী। তিনি ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন এবং কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থী আন্দোলনসহ বিভিন্ন জনস্বার্থ সংক্রান্ত আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তার সাহসী ও দৃঢ় মনোভাবের জন্য তিনি শিক্ষার্থী সমাজে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

২০১৮ সালের আটকের ঘটনা:

২০১৮ সালের ১৪ আগস্ট, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শামসুন্নাহার হলের সামনে থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে তুলে নিয়ে যায়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনা তাকে একটা গভীর ট্রমার মধ্যে ফেলে দেয়।

ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও জয়:

এই ঘটনার পর, তিনি সাহসী ও অকুতোভয়ভাবে ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং শামসুন্নাহার হলের ভিপি পদে নির্বাচিত হন। এই জয় তাঁর নেতৃত্বের দক্ষতা ও জনসমর্থনের পরিচায়ক। তার এই জয়কে অনেক সাংবাদিক ও শিক্ষাব্রতীয় ব্যক্তি স্বাগত জানান এবং তার সাহস ও সততায় প্রশংসা করেছেন।

সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততা:

শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি ‘স্লোগান ৭১’ নামক টিএসসি ভিত্তিক সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রক্তদাতাদের সংগঠন ‘বাঁধন’-এর সদস্য ছিলেন।

শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি-র জীবনী এক সাহসী যুবনেত্রীর কাহিনী। তার অকুতোভয় পদক্ষেপ এবং মানবাধিকার রক্ষার প্রতি অক্লান্ত প্রচেষ্টা তাকে শিক্ষার্থী সমাজের একজন প্রেরণার উৎস বানিয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী
  • কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে সক্রিয়
  • ২০১৮ সালে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে আটক
  • শামসুন্নাহার হলের ভিপি নির্বাচিত
  • ‘স্লোগান ৭১’ ও ‘বাঁধন’ সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে ছিলেন।