শরীফ উদ্দিন নামটি একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, বা সংগঠনের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। এই নামের ব্যক্তিদের তথ্য এবং তাদের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করার জন্য নিম্নলিখিত তথ্য উল্লেখ করা হলো:
১. শরীফ উদ্দিন আহমেদ: একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশী ইতিহাসবিদ। তিনি ১৯৪৫ সালের ১১ জানুয়ারী দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জনের পর, অক্সফোর্ড ও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রী লাভ করেন। তাঁর ঢাকার ইতিহাস বিষয়ক গবেষণা ও রচনার জন্য তিনি ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে দীর্ঘ সময় অধ্যাপনা করার পর, তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়েও যোগদান করেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়ার প্রথম সংস্করণের সম্পাদনা পরিষদের সদস্য এবং ঢাকা বিষয়ক বহু বইয়ের প্রধান সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি ইতিহাস একাডেমি এবং বাংলাদেশ আরকাইভস অ্যান্ড রেকর্ডস ম্যানেজমেন্ট সোসাইটির (বারমস) সভাপতি।
২. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন: গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য। তিনি ২০২৪ সালের ২৮ মার্চ এই পদে নিয়োগ পান। তার শিক্ষাগত যোগ্যতায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, এবং জাপানের শিগা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিয়োটো ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে উচ্চতর ডিগ্রী অন্তর্ভুক্ত।
৩. শরিফ উদ্দিন আহমেদ: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও হবিগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হন এবং ১৯৪২ সালের ৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার মৃত্যু হয় ১৯৯৭ সালের ৬ আগস্ট।
৪. শরীফ উদ্দিন (গায়ক): একজন জনপ্রিয় লোকশিল্পী। তাঁর ‘একটু দাঁড়াও মায়রে দেখি’, ‘ও বন্ধু লাল গোলাপি’, ‘বোরকা পরা মেয়ে পাগল করেছে’ সহ অনেক জনপ্রিয় গান রয়েছে। বর্তমানে তিনি সুরের জগৎ থেকে সরে গেছেন।
৫. মো. শরীফ উদ্দিন (দুদক কর্মকর্তা): দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-সহকারী পরিচালক ছিলেন। তিনি দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালানোর কারনে প্রভাবশালীদের রোষানলে পড়ে ২০২২ সালে চাকরিচ্যুত হন।
উপরোক্ত তথ্য শরীফ উদ্দিন নামের বিভিন্ন ব্যক্তিদের পরিচিতি ও তাদের কর্মজীবনের বিবরণ দেয়। যদি আপনার আরও নির্দিষ্ট কোনো শরীফ উদ্দিন সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে অতিরিক্ত তথ্য প্রদান করুন।