রাইসা সুলতানা

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

রাইসা সুলতানা: একজন মায়ের অসহ্য বেদনা

ঢাকার গ্রিনরোডের এক সুখী পরিবারের সদস্য ছিলেন রাইসা সুলতানা। স্বামী মাসুদ মিয়া ও দুই সন্তানের সাথে তিনি সুন্দর একটি সংসার গড়ে তুলেছিলেন। তাদের ছেলে মুহতাসিম মাসুদ, বুয়েটের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। মেয়েটি দশম শ্রেণিতে পড়তো। সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করতেন এই দম্পতি।

২০ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুহতাসিম মোটরসাইকেলে করে বুয়েটের উদ্দেশ্যে বের হয়। মা রাইসা সুলতানা রাত ১১টায় তাকে ফোন করে জানতে পারেন যে সে পুরান ঢাকায় বন্ধুদের সাথে খাচ্ছে এবং রাতে হলে থাকবে। কিন্তু ভোরে এক ভয়াবহ খবর তাকে ধ্বংস করে দেয়। মুহতাসিমের এক বন্ধু ফোন করে জানায় যে মুহতাসিম একটি দুর্ঘটনায় মারা গেছে।

এই দুঃসংবাদ শুনে রাইসা সুলতানা তীব্র শোকে ভেঙ্গে পড়েন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান। শুক্রবার বিকেলে ছেলের নিথর দেহ গ্রিনরোডের বাড়িতে আনা হলে তিনি অসহায় মায়ের আবেগে ভেঙ্গে পড়েন। ছেলের লাশের কাছে উপস্থিত থেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন।

এই মর্মান্তিক ঘটনায় রাইসা সুলতানা তথা সমগ্র পরিবারের শোকের পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা ও যানবাহনের দায়িত্বশীল চালনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই দুর্ঘটনার পেছনে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালনা ছিল প্রধান কারণ বলে জানা গেছে। ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী তুলেছেন রাইসা সুলতানা এবং তার স্বামী। এই ঘটনা তুলে ধরে যানবাহন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার কমানোর জন্য সরকারের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানানো হচ্ছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • মুহতাসিম মাসুদের মা রাইসা সুলতানা
  • পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে দুর্ঘটনায় ছেলের মৃত্যু
  • মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালনায় দুর্ঘটনা
  • ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী
  • একজন মায়ের অসহ্য বেদনা

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।