মেজবাউর রহমান সুমন: বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের এক নতুন নক্ষত্র
মেজবাউর রহমান সুমন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও বিজ্ঞাপন জগতের একজন প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউট থেকে স্নাতক শেষ করে তিনি আকর্ষণীয় একটি ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন। তার 'হাওয়া' চলচ্চিত্র ২০২২ সালে মুক্তি পেয়ে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে এবং তাকে জনপ্রিয়তা এনে দেয়।
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা:
সুমনের প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষাজীবনের বিস্তারিত তথ্য উপলব্ধ নয়। তবে জানা যায় যে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউট থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেছেন।
কর্মজীবন:
শিক্ষাজীবনের পর সুমন টেলিভিশন নাটক নির্মাণের ক্ষেত্রে যুক্ত হন। ২০০৬ সালে 'অরুপার কাছে যাচ্ছি' নাটক দিয়ে তার যাত্রা শুরু। এরপর তিনি বেশ কিছু জনপ্রিয় নাটক নির্মাণ করেন, যার মধ্যে 'দখিনের জানালাটা খোলা আলো আসে আলো ফিরে যায়', 'শহরতলীর আলো', 'প্রেম ও পরাবাস্তবতা', 'তারপর পারুলের দিন', 'জোছনা নদী ও রশিদের কিছু কল্পদৃশ্য', 'স্মিতা, সাদা জামা এইসব', 'তারপরও আঙুরলতা নন্দকে ভালোবাসে', 'ফেরার পথ নেই থাকে না কোনোকালে', 'শেষ বলে কিছু নেই' এবং 'সুপারম্যান' উল্লেখযোগ্য। তিনি 'কফি হাউজ' নামক জনপ্রিয় ধারাবাহিকের নির্মাতাও।
এক সময় নাটক নির্মাণ থেকে বিরতি নিয়ে ২০১২ সাল থেকে তিনি বিজ্ঞাপন নির্মাণের দিকে ঝুঁকে পড়েন। সেনাবাহিনী ও অনন্ত জলিলের জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনসহ অনেক স্মরণীয় বিজ্ঞাপন তিনি নির্মাণ করেছেন।
দীর্ঘদিন চেষ্টার পর ২০১৯ সালে তিনি তার প্রথম চলচ্চিত্র 'হাওয়া' নির্মাণ করেন। সমুদ্রের জেলেদের জীবন নিয়ে এই চলচ্চিত্রটি অনন্য নির্মাণশৈলী ও গল্পের জন্য প্রশংসিত হয়। এতে চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরীফুল রাজ প্রমুখ অভিনয় করেছেন। 'হাওয়া' চলচ্চিত্র জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে।
সম্প্রতি তিনি 'রইদ' নামে নতুন একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজে নিয়োজিত। এতে নাজিফা তুষি ও মোস্তাফিজুর নূর ইমরান অভিনয় করছেন। জয়া আহসান এই ছবির প্রযোজনায় সংশ্লিষ্ট ছিলেন, তবে বর্তমানে বেঙ্গল ক্রিয়েশনস এই ছবির প্রযোজনায় কাজ করছে।
গান ও সঙ্গীত:
সুমন সঙ্গীতের সাথেও জড়িত। তিনি 'মেঘদল' ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, গীতিকার ও গায়ক। ব্যান্ডটি দুটি অ্যালবাম প্রকাশ করেছে এবং তৃতীয় অ্যালবামের কাজ প্রায় সম্পন্ন।
উপসংহার:
মেজবাউর রহমান সুমন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও বিজ্ঞাপন জগতে অবদান রেখে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার কাজের মাধ্যমে তিনি দর্শকদের মনে স্থান করে নিয়েছেন। তার ভবিষ্যৎ কর্মের প্রতি আগ্রহ বজায় থাকা স্বাভাবিক।