ইসলামোফোবিয়া, ইসলামবিদ্বেষ কিংবা মুসলিম-বিরোধী মনোভাব একটি ব্যাপক ও জটিল সমস্যা যা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মুসলিম জনগোষ্ঠীর জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি ধর্মীয় ভীতি, কুসংস্কার, বৈষম্য এবং সহিংসতার বিভিন্ন রূপ ধারণ করে। ইসলামোফোবিয়ার উত্স ও কারণ অনেকগুলি, তবে মূলত এটি সমাজের গভীর বর্ণবাদ, জাতিগত বৈষম্য এবং সংস্কৃতির অভাবের ফলে উদ্ভব হয়। চরমপন্থী মুসলিমদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং অভিবাসনের প্রেক্ষাপটেও ইসলামোফোবিয়া বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মুসলিম নারীরা পুরুষদের তুলনায় ইসলামোফোবিয়ার শিকার বেশি হয়। ফ্রান্সে ১৯৮৪ সালে হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশেও ধর্মীয় পোশাক পরা নিয়ে কঠোর নিয়ম-কানুন ইসলামোফোবিয়ার প্রমাণ।
ইসলামোফোবিয়ার প্রভাব বহুমুখী। এটি কর্মসংস্থানের সুযোগ কমিয়ে দেয়, শিক্ষার ব্যাঘাত ঘটায়, সামাজিক বহিষ্কার ঘটায় এবং এমনকি সহিংসতারও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ইসলামোফোবিয়ায় বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তি জড়িত, তবে তাদের নির্দিষ্ট সংখ্যা এবং বিস্তারিত তথ্য এখানে উল্লেখ করা সম্ভব নয়।
বিভিন্ন দেশে ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারী ও বেসরকারী অনেক সংস্থা কাজ করছে। তবে ইসলামোফোবিয়া বন্ধ করার জন্য সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, ধর্মীয় বৈষম্য বিরোধী আইন প্রয়োগ এবং শিক্ষার মাধ্যমে ধর্মীয় সহনশীলতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া অপরিহার্য।