মাহাদী

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

ইসলামি পরকালবিদ্যায় মাহাদী বা মাহদী ( আরবি: ٱلْمَهْدِيّ, প্রতিবর্ণীকৃত: al-Mahdī, অনুবাদ 'সুপথপ্রাপ্ত') একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তাকে কেয়ামতের আগে বিশ্বে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করার জন্য আবির্ভূত হবেন বলে বিশ্বাস করা হয়। মুসলিমদের দুই প্রধান শাখা সুন্নি ও শিয়া উভয়েরই মধ্যে মাহাদী বিষয়ক বিশ্বাস রয়েছে, তবে তাদের মধ্যে মাহাদী কে, কেমন হবেন এবং কখন আসবেন সে বিষয়ে মতভেদ রয়েছে।

সুন্নিদের মতে, মাহাদী নবী মুহাম্মদের বংশধর হবেন, যিনি কেয়ামতের কিছুদিন পূর্বে আবির্ভূত হবেন। তিনি মুসলমানদের নেতৃত্ব দেবেন এবং বিশ্ব জুড়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবেন। সুন্নিদের দুটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাদিসগ্রন্থ সহীহ আল-বুখারি ও সহিহ মুসলিমে মাহাদীর উল্লেখ নেই, যদিও অন্যান্য হাদিসগ্রন্থে তার উল্লেখ আছে। সুন্নিদের মতে, মাহাদীর নাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ হবে। তিনি সাত বছর বা তার বেশি সময় শাসন করবেন।

শিয়াদের, বিশেষ করে দ্বাদশী শিয়াদের বিশ্বাস, মুহাম্মদ আল-মাহদী হলেন তাদের বারো ইমামের শেষ ইমাম, যিনি ৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শিয়াদের মতে, আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি অদৃশ্য হয়ে আছেন এবং কেয়ামতের আগে আবার আবির্ভূত হবেন।

ইসমাঈলী শিয়াদের মধ্যে মাহাদী সম্পর্কে আলাদা ধারণা রয়েছে। তাদের মতে, তাদের নির্বাচিত ইমামগণই মাহাদীর প্রতিনিধিত্ব করেন। জায়দী শিয়ারা মাহাদীর ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং ইবাদীরাও মাহাদীর ব্যক্তিত্বকে প্রত্যাখ্যান করে। আহমদীয়া মতে, মসীহ ও মাহাদী একই ব্যক্তি।

অনেক মুসলিম পণ্ডিত মাহাদীর আবির্ভাবের ধারণাকে সমর্থন করেন না এবং এ ধারণাকে দুর্বল হাদিসের উপর ভিত্তি করে বলে মনে করেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • ইসলামি পরকালবিদ্যায় মাহাদী একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব
  • সুন্নি ও শিয়া উভয়েরই মাহাদী বিষয়ক বিশ্বাস রয়েছে, তবে তাদের মধ্যে মতভেদ আছে
  • সুন্নিদের মতে, মাহাদী নবী মুহাম্মদের বংশধর এবং কেয়ামতের কিছুদিন পূর্বে আবির্ভূত হবেন
  • শিয়াদের, বিশেষ করে দ্বাদশী শিয়াদের মতে মাহাদী ইতিমধ্যেই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং অদৃশ্য আছেন
  • ইসমাঈলী শিয়াদের মাহাদী সম্পর্কে আলাদা ধারণা আছে
  • জায়দী ও ইবাদীরা মাহাদীর ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করে
  • অনেক মুসলিম পণ্ডিত মাহাদীর আবির্ভাবের ধারণাকে সমর্থন করেন না

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।