শিয়া ইসলাম ইসলামের দ্বিতীয় বৃহত্তম শাখা, যারা বিশ্বাস করে যে, ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) তার চাচাতো ভাই ও জামাতা আলী ইবনে আবী তালিবকে তার উত্তরাধিকারী হিসেবে মনোনীত করেছিলেন। গাদীর খুমের ঘটনা এবং আলী (রাঃ) কে খিলাফত থেকে বঞ্চিত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে মতবিরোধের সূত্রপাত হয়। শিয়া ইসলামে ইমামতের ধারণা গুরুত্বপূর্ণ, যারা মুসলিম উম্মাহর আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রদান করেন। শিয়া ইসলামের বিভিন্ন শাখা রয়েছে, যেমন ইসনা আশারিয়া, ইসমাইলি ও জায়েদি। ইসনা আশারিয়া হল সবচেয়ে বৃহৎ শাখা। শিয়া মুসলমানদের মোট সংখ্যা ১০-১৫%। হুসেইন ইবনে আলীর কারবালার যুদ্ধে শাহাদাতবরণ শিয়া ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। শিয়া ইসলামের ধর্মতত্ত্ব, আইনশাস্ত্র ও চর্চা সুন্নি ইসলাম থেকে আলাদা। শিয়ারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এবং অনেক দেশেই তারা সংখ্যালঘু হিসেবে বসবাস করে। ইরান, ইরাক, লেবানন, বাহরাইন, আজারবাইজান শিয়া অধ্যুষিত দেশ। শিয়া ইসলামের ইতিহাসে রাজনৈতিক সংগ্রাম ও নিপীড়নের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। শিয়া মুসলিমদের জীবনে কুরআন, হাদিস, ইমামদের শিক্ষা, এবং দোয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শিয়া
আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- শিয়া ইসলাম হলো ইসলামের দ্বিতীয় বৃহত্তম শাখা।
- গাদীর খুমের ঘটনা শিয়া মতবাদের ভিত্তি।
- ইমামগণ শিয়া ইসলামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
- শিয়া ইসলামের ইসনা আশারিয়া, ইসমাইলি ও জায়েদি শাখা রয়েছে।
- কারবালার যুদ্ধ শিয়া ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।