মার্কেট

মার্কেট: বাংলাদেশের অর্থনীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ

বাংলাদেশের অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু হলো এর বাজার ব্যবস্থা। দেশের প্রতিটি প্রান্তে ছোট বড় অসংখ্য মার্কেট বিরাজমান। এই মার্কেটগুলো শুধুমাত্র পণ্য কেনাবেচার স্থান নয়, এটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের কেন্দ্রবিন্দু। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট এর একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই মার্কেটটি ৫ একর জমির উপর অবস্থিত। প্রাথমিকভাবে চাল ও ডালের বাজার হলেও বর্তমানে এখানে নানা ধরনের খাদ্যসামগ্রী পাওয়া যায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত, যেমন জামালপুর, শেরপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, রংপুর এবং কুষ্টিয়া থেকে পণ্য এখানে আসে। প্রতিদিন গড়ে দেড় কোটি টাকার লেনদেন হয় এই মার্কেটে। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের চারপাশে ব্যাংক, ছোট ছোট দোকানপাট, কাঁচা বাজার এবং কাপড়ের দোকান গড়ে উঠেছে, একটি সম্পূর্ণ বাজার ব্যবস্থা তৈরি করেছে।

অন্যদিকে, ঢাকার নিউমার্কেট এর উল্লেখযোগ্য। ২০০৫ সালের ২৭ জুন ধানমন্ডি থানার অংশ বিশেষ নিয়ে গঠিত এই থানাটির অধীনে বেশ কিছু বাজার ও শপিং সেন্টার রয়েছে, যেমন নিউমার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট ইত্যাদি। এই এলাকাটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমৃদ্ধ। এখানে গার্মেন্টস ও ঔষধ শিল্পের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাথেও নিউমার্কেটের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।

এই দুটি উদাহরণই প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের মার্কেট শুধু অর্থনৈতিক কেন্দ্র নয়, এটি সমাজের সব স্তরের মানুষের জীবনের সাথে জড়িত। আধুনিকায়নের ছোঁয়া লাগলেও, এই মার্কেটগুলোতে ঐতিহ্যের ছাপ স্পষ্ট। ভবিষ্যতে এই মার্কেটগুলোর আরও উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।

মূল তথ্যাবলী:

  • মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত।
  • প্রতিদিন দেড় কোটি টাকার লেনদেন হয় মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে।
  • নিউমার্কেট ২০০৫ সালের ২৭ জুন থানা হিসেবে গঠিত হয়।
  • নিউমার্কেটে বেশ কিছু বাজার ও শপিং সেন্টার রয়েছে।
  • মার্কেটগুলো অর্থনীতি ও সমাজের সাথে গভীরভাবে জড়িত।