মধ্যসত্ত্বভোগী: অভিবাসন ব্যবস্থার ছায়াপুরুষ
অভিবাসন, বিশেষ করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ‘মধ্যসত্ত্বভোগী’ শব্দটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এরা সাধারণত দালাল বা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পরিচিত। অনেক ক্ষেত্রে, অভিবাসীদের বিদেশে যাওয়ার পুরো প্রক্রিয়ায় এদের সহায়তা ছাড়া এগোনো কঠিন হয়ে পড়ে।
মধ্যসত্ত্বভোগীরা বিভিন্ন ভূমিকায় কাজ করে। কিছু মধ্যসত্ত্বভোগী শুধুমাত্র তথ্য সরবরাহ করে, কিছু অভিবাসনের প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপে সহায়তা প্রদান করে, আবার কিছু সরাসরি নিয়োগদাতার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে। এদের কিছু বৈধভাবে কাজ করে, অন্যরা অবৈধভাবে।
অভিবাসন ব্যবস্থায় মধ্যসত্ত্বভোগীদের ভূমিকা বিভিন্ন দিক থেকে বিশ্লেষণ করা যায়। একদিকে এরা অনেকের জন্য বিদেশে যাওয়ার পথ সহজ করে তোলে, অন্যদিকে এদের অবৈধ কার্যকলাপ অভিবাসন ব্যয় বৃদ্ধি করে এবং অনেক অভিবাসীকে ঠকায়। অভিবাসন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে প্রবাসীদের পরিবারের উপর অর্থনৈতিক ভার পড়ে। এছাড়াও অবৈধ মধ্যসত্ত্বভোগীদের কাজের কারণে অভিবাসন প্রক্রিয়া জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
২০১৯ সালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘অভিবাসন ও সোনার মানুষ সম্মিলন’ -এ এই বিষয়টি উঠে এসেছিল। সরকারি-বেসরকারি বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই সম্মিলনে মধ্যসত্ত্বভোগীদের আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছিলেন। এতে অভিবাসন ব্যয় কমতে পারে বলে মনে করা হয়।
গ্রিসে বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের ক্ষেত্রেও মধ্যসত্ত্বভোগীদের (মাস্তুরা) ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এরা অনিবন্ধিত শ্রমিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করে থাকে। বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে এই শ্রমিকরা শোষণের শিকার হয়।
আরও তথ্য একত্রিত করার পর আমরা এই লেখাটি আপডেট করবো।
মধ্যসত্ত্বভোগী (অভিবাসন)
মধ্যসত্ত্বভোগীরা অভিবাসন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অনেক ক্ষেত্রে অভিবাসীদের বিদেশে যাওয়ার জন্য এদের সাহায্য প্রয়োজন।
মধ্যসত্ত্বভোগীদের অবৈধ কার্যকলাপ অভিবাসন ব্যয় বৃদ্ধি করে।
২০১৯ সালে অভিবাসন ও সোনার মানুষ সম্মিলনে মধ্যসত্ত্বভোগীদের আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার প্রস্তাব উঠে।
গ্রিসে বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যসত্ত্বভোগীদের (মাস্তুরা) কবলে পড়ে শোষণের শিকার হতে হয়।