ভুক্তভোগী নারী: এক বহুমুখী সমস্যা
বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের বিভিন্ন রূপ ও এর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা করা প্রয়োজন। প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় হেল্পলাইন ১০৯-এর মাধ্যমে ভুক্তভোগী নারীরা পর্যাপ্ত সহায়তা পাচ্ছেন না। ২০২২ সালে ৭ লাখের বেশি কলের ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র তথ্য দেওয়া হয়েছে, চিকিৎসা, কাউন্সেলিং ও আইনি সহায়তা সীমিত। এর কারণ হিসেবে জনবলের অভাব এবং সরাসরি সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থার অপ্রতুলতা উল্লেখ করা হয়েছে।
মহাখালীর এক নারীর অভিজ্ঞতা উল্লেখযোগ্য। স্বামীর নির্যাতন ও পরিত্যক্তির শিকার হয়ে তিনি আইনি সহায়তা পেতে ১০৯-এ যোগাযোগ করেছিলেন, কিন্তু পর্যাপ্ত নির্দেশনা পাননি। এছাড়াও, সাইবার স্পেসে নারী নির্যাতন, ডক্সিং ও হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে হয়রানির প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেনের তথ্য অনুসারে, গত সাড়ে তিন বছরে ৬০,০০০ এর বেশি নারী এ ধরণের অপরাধের শিকার হয়েছেন।
আইনি দিক থেকে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে প্রতি বছর ২০,০০০ এর বেশি মামলা দায়ের হচ্ছে, কিন্তু বিচারের দীর্ঘসূত্রতা ও সাজা কার্যকরের হার কম। এছাড়াও, মানবপাচারের শিকার নারীদের সংখ্যাও উদ্বেগজনক। এই প্রতিবেদন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:
- ১০৯ হেল্পলাইন কার্যকর করার জন্য সরাসরি সহায়তা প্রয়োজন।
- সাইবার নির্যাতনের শিকার নারীরা পর্যাপ্ত সহায়তা পান না।
- আইনি ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রতা ও সাজা কার্যকরের হার কম।
- মানবপাচার রোধে কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজন।