নারী নির্যাতন

নারী নির্যাতন: একটি জাতীয় কলঙ্ক

বাংলাদেশে নারী নির্যাতন একটি ভয়াবহ বাস্তবতা। শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হন অসংখ্য নারী। এই নির্যাতন শুধুমাত্র ঘরে-পরেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং রাস্তাঘাট, কর্মক্ষেত্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সর্বত্রই এর ছায়া পড়েছে। ১৯৯৫ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন (বিশেষ বিধান) আইন পাস হলেও, এর প্রয়োগে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার নারীরা সামাজিক বাধা, আর্থিক দুর্বলতা এবং আইনি জটিলতার কারণে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হন। পুলিশ, আদালত এবং সরকারী তদারকি যথেষ্ট সক্রিয় নয় এমন অভিযোগও রয়েছে।

সংখ্যায় প্রকাশ করা কঠিন হলেও, প্রতিদিনই অনেক নারী এই নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অনেকের ক্ষেত্রে নির্যাতনের ঘটনা গোপন থাকে। এই গোপনীয়তার কারণেই সঠিক পরিসংখ্যান জানা কঠিন। তবে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিবেদন থেকে এই ভয়াবহ বাস্তবতা উঠে আসে। এই নির্যাতনের শিকার শুধুমাত্র গ্রামীণ অঞ্চলে নয়, শহরাঞ্চলেও অনেক নারী এর শিকার।

এই সমস্যা সমাধানের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরী। নারীদের উপর নির্যাতন কোন ক্রাইম নয়, এটি একটি মানবাধিকার উল্লঙ্ঘন। সমাজের সকল স্তরের মানুষকেই এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে এবং নির্যাতনের শিকার নারীদের সাহায্য করতে সামনে আসতে হবে। আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং নিশ্চিত ন্যায় বিচারের মাধ্যমে নারী নির্যাতনের ঘটনা কমানো সম্ভব। সরকারী পর্যায়ে দ্রুত এবং কার্যকর কাজ প্রয়োজন এবং সাংবাদিক, শিক্ষক, আইনজীবী সহ সমাজের সকল স্তরের মানুষের সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য।

মূল তথ্যাবলী:

  • নারী নির্যাতন বাংলাদেশে একটি ব্যাপক সমস্যা
  • ১৯৯৫ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন (বিশেষ বিধান) আইন পাস হয়েছে
  • আইনের প্রয়োগে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে
  • নির্যাতনের শিকার নারীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হন
  • সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আইনের সঠিক প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরী

গণমাধ্যমে - নারী নির্যাতন

২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

এই ঘটনায় দুই নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

দুই নারীকে নির্যাতন করা হয়েছে।