রাইসুল ইসলাম

আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:৫৮ এএম

রাইসুল ইসলাম আসাদ: একাত্তরের যোদ্ধা, চলচ্চিত্রের তারকা

রাইসুল ইসলাম আসাদ, বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি অভিনেতা এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৫৩ সালের ১৫ জুলাই জন্মগ্রহণকারী আসাদুজ্জামান মোহাম্মদ রাইসুল ইসলাম, যিনি রাইসুল ইসলাম আসাদ নামেই বেশি পরিচিত, চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, রেডিও ও মঞ্চ - সর্বত্রই তিনি তার অভিনয়ের দাপট দেখিয়েছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঢাকায় গেরিলা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন এবং খ্যাতিমান ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য ছিলেন।

শিক্ষা ও প্রারম্ভিক জীবন:

রাইসুল ইসলাম আসাদ ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭২ সালে তিনি ‘আমি রাজা হব না’ এবং ‘সর্পবিষয়ক গল্প’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে মঞ্চে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯৭৩ সালে ‘আবার তোরা মানুষ হ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তিনি বড়পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন।

চলচ্চিত্রে অবদান:

রাইসুল ইসলাম আসাদ বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন। ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ (১৯৯৩), ‘অন্য জীবন’ (১৯৯৫), ‘দুখাই’ (১৯৯৭) এবং ‘লালসালু’ (২০০১) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি চারবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও, ‘ঘানি: দ্য সাইকেল’ (২০০৬) এবং ‘মৃত্তিকা মায়া’ (২০১৩) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি দুইবার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা পুরস্কার পেয়েছেন। ২০২০ সালে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা লাভ করেন এবং ২০২১ সালে তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক প্রদান করা হয়। তিনি ৫০ টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ:

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে রাইসুল ইসলাম আসাদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ২০০৬ সালে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ‘রাঢ়ে ভান্ডার’ সম্মাননা লাভ করেন।

ব্যক্তিগত জীবন:

১৯৭৯ সালে তিনি তাহিরা দিল আফরোজকে বিয়ে করেন এবং তাদের এক মেয়ে রয়েছে। বর্তমানে তার স্ত্রী ও মেয়ে আমেরিকায় বসবাস করেন, এবং তিনিও মাঝে মাঝে তাদের সাথে সময় কাটাতে সেখানে যান।

সম্মাননা ও পুরস্কার:

রাইসুল ইসলাম আসাদের অভিনয় জীবন সমৃদ্ধ পুরস্কারে ভরা। তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একুশে পদক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সম্মাননা লাভ করেছেন।

রাইসুল ইসলাম আসাদ বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতির জন্য অমূল্য অবদান রেখেছেন এবং তার অভিনয় কীর্তি দীর্ঘদিন ধরে দর্শকদের মনে স্থান করে নেবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশী অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা
  • চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার বিজয়ী
  • একুশে পদক প্রাপ্তি
  • মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
  • ৫০ টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয়

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - রাইসুল ইসলাম

২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

রাইসুল ইসলাম অসুস্থ বাবাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার সময় যানজটে আটকা পড়েন।

আন্দোলনকালে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যা উঠে আসে।