বিডিআর

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি): ইতিহাস, ভূমিকা ও উল্লেখযোগ্য ঘটনা

বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত আধাসামরিক বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), এর ইতিহাস বেশ দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ। প্রাথমিকভাবে ১৭৯৫ সালের ২৯ জুন রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন হিসেবে ৪৪৮ জন সৈন্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে, পরবর্তীতে এর নাম পরিবর্তন হয়েছে একাধিকবার। ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর) হিসেবে দীর্ঘ সময় কাজ করার পর ১৯৭২ সালে এর নামকরণ হয় ‘বাংলাদেশ রাইফেলস’ (বিডিআর)। অবশেষে ২০১১ সালে ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ (বিজিবি) নামে নতুন পরিচয় পায়। ঢাকার পিলখানা বিজিবির সদর দপ্তর।

বিজিবির ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য ঘটনার মধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ। ৮১৭ জন বিডিআর সদস্য মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দিয়েছিলেন। নূর মোহাম্মদ শেখ ও মুন্সি আব্দুর রউফ সহ অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্মরণীয় চিহ্ন রাখেন। ১৯৮০ সালে জাতীয় পতাকা এবং ১৯৯৭ সালে নতুন ইউনিফর্ম প্রবর্তনের মাধ্যমে এর গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পায়। তবে ২০০৯ সালে পিলখানায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড এর ইতিহাসের একটি অন্ধকার অধ্যায়। এই ঘটনার পর বিডিআর আইন পরিবর্তন করে বিজিবি গঠন করা হয়। ২০১৬ সালে এই বাহিনীতে প্রথম নারী সৈনিক যোগ দেন।

বিজিবি সীমান্ত রক্ষার উপর নির্ভর করে না, আরও অনেক দায়িত্ব পালন করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরিস্থিতিতে এরাই প্রথম সাড়া দেন। তাই একটি মাল্টি-টাস্কিং বাহিনী হিসেবে এর ভূমিকা অপরিসীম।

বিজিবি'র ইতিহাস বহু উত্থান-পতনের সাক্ষী এবং এটি বাংলাদেশের রক্ষা এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি মূল্যবান সংস্থা।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৭৯৫ সালে রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন হিসেবে যাত্রা শুরু।
  • ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) নামকরণ।
  • ২০১১ সালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নামকরণ।
  • ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।
  • মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন।
  • ২০১৬ সালে প্রথম নারী সৈনিক যোগদান।

গণমাধ্যমে - বিডিআর

২৫ ফেব্রুয়ারী ২০০৯, ৬:০০ এএম

বিডিআর-এর সদস্যরা বিদ্রোহ করে।