২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)-এর সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অন্ধকার অধ্যায়। এই ঘটনায় বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা এবং ১৭ জন বেসামরিক ব্যক্তিসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। বিদ্রোহীরা বিডিআর সদর দফতর দখল করে, কর্মকর্তাদের জিম্মি করে, অস্ত্রশস্ত্র লুট করে এবং সরকারি সম্পত্তি ভাংচুর করে। বিদ্রোহের দ্বিতীয় দিনে দেশের অন্যান্য ১২টি শহরেও অনুরূপ অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। সরকারের সাথে আলোচনার পর বিদ্রোহীরা অস্ত্র সমর্পণ করে এবং জিম্মিদের মুক্তি দেয়। পরবর্তীতে, ২০১৩ সালে এই ঘটনার সাথে জড়িত ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিচার প্রক্রিয়ার ন্যায়বিচারের অভাব এবং অযৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এই ঘটনার পর বিডিআরের নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) করা হয়। তবে, বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক ও ঘটনার পুনঃতদন্তের দাবি এখনও বিদ্যমান।
পিলখানা বিডিআর হত্যাকাণ্ড
মূল তথ্যাবলী:
- ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ
- ৭৪ জনের মৃত্যু, ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ
- বিডিআর সদর দপ্তর দখল, জিম্মি, লুটপাট
- ২০১৩ সালে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬১ জনের যাবজ্জীবন
- বিডিআর-এর নাম পরিবর্তন করে বিজিবি
গণমাধ্যমে - পিলখানা বিডিআর হত্যাকাণ্ড
পিলখানা বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কমিশন গঠিত হয়েছে।