পার্ক

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:১৪ পিএম

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত উদ্যান বা পার্ক নানা রকমের। সাধারণত প্রাকৃতিক বা প্রায় প্রাকৃতিক, সংরক্ষিত অঞ্চলকে পার্ক বলে। কিন্তু কৃত্রিম উপায়েও পার্ক তৈরি হয়। পার্ক হিসেবে চিহ্নিত স্থানে বিভিন্ন প্রকার গাছপালা রোপণ করা হয়। পার্ক হলো গাছপালাশোভিত স্থান যেখানে মানুষ বিনোদন উপভোগ করে। কিছু পার্ক বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল সংরক্ষণের জন্য তৈরি। জাতীয় উদ্যানসহ দেশের বিভিন্ন উদ্যান বিনোদনের জন্য ব্যবহৃত প্রাকৃতিক স্থান। ঘাসে ঢাকা, শিলাময়, জলাশয়যুক্ত, কৃত্রিম জলাধারসহ নানা রকমের পার্ক আছে। ঘাস কাটা যন্ত্র দিয়ে ঘাস ছেঁটে দেওয়া হয়, যাতে হাঁটা, বেড়ানো ও খেলাধুলার উপযোগী হয়। পার্কের নামকরণ কোনো অঞ্চলের নামে বা বিশিষ্ট ব্যক্তির নামে হতে পারে।

ইংল্যান্ডের হরিণ উদ্যান মধ্যযুগে শিকারের জন্য অভিজাতদের ব্যবহৃত হতো। পার্কগুলো ষোড়শ শতাব্দীর আগে থেকেই ল্যান্ডস্কেপ উদ্যানের সাথে জড়িত প্রাসাদ ও দেশি বাড়িগুলো সংরক্ষণ করে। শিল্প বিপ্লবের পর শহুরে পার্ক প্রকৃতির অনুভূতি সংরক্ষণের জন্য আলাদা অঞ্চল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। অসামান্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ক্ষেত্রগুলো জাতীয় উদ্যান হিসেবে সংরক্ষিত।

পার্কগুলো নগর অবকাঠামোর অংশ। পরিবার ও সম্প্রদায়ের একত্রিত হওয়ার, সামাজিকীকরণ ও অবকাশ উপভোগের জায়গা। গবেষণায় দেখা গেছে সবুজস্থানে শরীরচর্চা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। শহুরে উদ্যান শহরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। উদাহরণস্বরূপ- শিকাগোর মিলেনিয়াম উদ্যান, স্টিমফোর্ডের মিল রিভার উদ্যান। আমেরিকান সোসাইটি অফ ল্যান্ডস্কেপ আর্কিটেক্টস পার্কের গুরুত্ব তুলে ধরে।

পার্ক ব্যবহারের জন্য নিরাপদ বোধ করা জরুরি। গবেষণা অনুসারে নিরাপত্তার অনুভূতি উদ্যানের ব্যবহারকে প্রভাবিত করে। উদ্যানের নকশা, দৃশ্যমানতা, আলো, রক্ষণাবেক্ষণ, প্রোগ্রামিং ও সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ নিরাপত্তার অনুভূতিতে ভূমিকা পালন করে। ক্রাইম প্রিভেনশন থ্রু এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (CPTED) পার্কের নিরাপত্তা নিশ্চিতে উপযোগী হতে পারে তবে এর নকশা ও সৌন্দর্যের উপর এর প্রভাব বিবেচনা করা উচিৎ।

জাতীয় পার্ক স্থানীয় ও দেশীয় প্রাণী ও উদ্ভিদের সংরক্ষিত এলাকা। পৃথিবীর বৃহত্তম জাতীয় পার্ক নর্থ-ইস্ট গ্রিনল্যান্ড। ইয়োসোসাইট জাতীয় উদ্যান ও সাগরমাথা ন্যাশনাল পার্কও উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের ভাওয়াল, মধুপুরসহ অনেক জাতীয় উদ্যান আছে। ব্যক্তিগত উদ্যান ব্যক্তি বা ব্যবসার মালিকানায় থাকে। শিকার উদ্যান খোলা জায়গা হিসেবে সংরক্ষিত থাকে, প্রায়শই অভিজাতদের শিকারের জন্য। প্রাকৃতিক সংরক্ষিত এলাকা বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উদ্ভিদ ও প্রাণী সংরক্ষণের জন্য, রাষ্ট্রীয় সংরক্ষিত এলাকা জনসাধারণের বিনোদনের জন্য। সাফারি পার্ক বন্যপ্রাণীর জন্য সংরক্ষিত। আঞ্চলিক পার্ক স্থানীয় বিনোদনের জন্য, স্থানীয় পার্ক ছোটো আকারের। সামুদ্রিক পার্ক সামুদ্রিক উদ্ভিদ ও প্রাণী সংরক্ষণের জন্য। জলজ সংরক্ষিত এলাকা জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য। থিম পার্ক জনসাধারণের বিনোদনের জন্য নির্মিত ব্যবসায়িক পার্ক। শিশুপার্ক ও প্রমোদ উদ্যানও পার্কের অন্তর্ভুক্ত। আমরা যখন আরও তথ্য পাবো তখন আপনাকে অবগত করা হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • বিভিন্ন ধরণের পার্ক আছে, যেমন জাতীয় উদ্যান, শহুরে উদ্যান, ব্যক্তিগত উদ্যান
  • পার্কগুলো বিনোদন, প্রকৃতি সংরক্ষণ ও সামাজিকীকরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
  • পার্কের নিরাপত্তা ও নকশা জনসাধারণের ব্যবহারকে প্রভাবিত করে
  • জাতীয় উদ্যানে দেশীয় প্রাণী ও উদ্ভিদ সংরক্ষিত থাকে
  • বাংলাদেশে ভাওয়াল, মধুপুরসহ অনেক জাতীয় উদ্যান আছে

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - পার্ক

২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

ঢাকার দুটি পার্ক নিয়ে নতুন পরিকল্পনা