পাটকল

জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ (স্কপ) করোনাকালীন বন্ধ পাটকলসহ সকল বন্ধ কারখানা পুনরায় চালু করার দাবি জানিয়েছে। স্কপ নেতারা বলছেন, করোনাকালে সরকার লোকসানের অজুহাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি চিনিকল বন্ধ করে দিয়েছিল, পরবর্তীতে আন্দোলনের মুখে তা চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। এখন তাদের দাবি, পাটকলসহ অন্যান্য বন্ধ কারখানাও একইভাবে পুনরায় চালু করা উচিত। জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান। শ্রমিক নেতা আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যেখানে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের পর বৈষম্যবিরোধী লড়াইয়ে নতুন উদ্দীপনা এসেছে। শিল্প মন্ত্রণালয় ও পাট মন্ত্রণালয়ে বন্ধ চিনি ও পাটকল খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। সরকারের চিনিকল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। বন্ধ চিনিকলের পর্যালোচনার পর টাস্কফোর্স তিন ধাপে চিনিকল খুলে দেওয়ার প্রস্তাব করে, যা ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বরের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর অনুমোদন করা হয়। কিন্তু পাটকল নিয়ে কোন সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়নি। আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন আরও বলেন, শাসক শ্রেণীর নীতি রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান ব্যক্তিমালিকানায় দিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। এই নীতি শ্রমিক, কৃষক ও মেহনতি মানুষের উপর আক্রমণ। এই আক্রমণ শুধুমাত্র শ্রমিক ও কৃষক আন্দোলনের মাধ্যমে মোকাবেলা করা যাবে না। এটি জাতীয় সম্পদ রক্ষার লড়াই। তিনি জানান, পাটকলসহ অন্যান্য বন্ধ কারখানা আধুনিকায়নের মাধ্যমে খুলে দেওয়ার লড়াই চালিয়ে যাওয়া হবে এবং বন্ধ পাটকলগুলো অবিলম্বে খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানানো হচ্ছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের পাটকল পুনরুদ্ধারের দাবি
  • করোনাকালীন বন্ধ কারখানা খোলার আন্দোলন
  • চিনিকল খোলার পর পাটকল খোলার দাবি জোরদার
  • রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিগতকরণের বিরোধিতা
  • আধুনিকায়নের মাধ্যমে পাটকল পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা

গণমাধ্যমে - পাটকল

২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

এই কারখানাগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।