নাইক্ষ্যংছড়ি

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

নাইক্ষ্যংছড়ি: বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্যে পরিবেষ্টিত এই উপজেলা পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম আকর্ষণ। নাইক্ষ্যংছড়ির অবস্থান ২১°১১´ থেকে ২১°৪০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°০৬´ থেকে ৯২°২৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে। ৪৬৩.৬১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ উপজেলার উত্তরে লামা উপজেলা ও কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলা, দক্ষিণে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য, পূর্বে আলীকদম উপজেলা ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য, এবং পশ্চিমে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া, রামু ও উখিয়া উপজেলা অবস্থিত। ১৯২৩ সালে থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৯৮৩ সালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে এটি ৫টি ইউনিয়নে বিভক্ত। ২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, নাইক্ষ্যংছড়ির জনসংখ্যা ৭৬,৪৭৫, যার মধ্যে পুরুষ ৩৮,২৮২ এবং মহিলা ৩৮,১৯৩। জনসংখ্যার ৭৯.৩৮% মুসলিম, ১৯.৪১% বৌদ্ধ, ০.৪৯% হিন্দু, এবং ০.৭% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। নাইক্ষ্যংছড়ির অর্থনীতি কৃষি, বাণিজ্য এবং রাবার চাষের উপর নির্ভরশীল। এখানকার প্রধান প্রধান সড়কগুলো হল বান্দরবান-লামা-আলীকদম-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়ক, বান্দরবান-থানচি-আলীকদম-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়ক এবং বান্দরবান-কেরানিহাট-চকরিয়া-রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়ক। যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে সিএনজি, মাইক্রোবাস ব্যবহৃত হয়। নাইক্ষ্যংছড়িতে ৮৫টি মসজিদ, ৩টি মন্দির এবং ৩৭টি বিহার রয়েছে। এ উপজেলায় একটি ডিগ্রী কলেজ, ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৫টি দাখিল মাদ্রাসা এবং ৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ির দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য উপলব্ধ হলে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • নাইক্ষ্যংছড়ি বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার একটি উপজেলা।
  • এর আয়তন ৪৬৩.৬১ বর্গ কিলোমিটার।
  • ২০২২ সালে জনসংখ্যা ছিল ৭৬,৪৭৫।
  • ১৯২৩ সালে থানা, ১৯৮৩ সালে উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
  • কৃষি, বাণিজ্য এবং রাবার চাষ প্রধান অর্থনৈতিক কার্যক্রম।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।