তুহিন ওয়াদুদ

আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:৫৯ এএম

ড. তুহিন ওয়াদুদ (পূর্ণ নাম: আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান) বাংলাদেশের একজন নদী ও পরিবেশ বিষয়ক সংগঠক, গবেষক ও লেখক। তিনি ১৯৭৮ সালের ২৫ জানুয়ারি কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার বোতলারপাড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর এবং ২০০৮ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও ডিন হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। নদীবিষয়ক সংগঠন ‘রিভারাইন পিপলের’ পরিচালক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।

তার উদ্যোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ৩০০ এর অধিক প্রজাতির ৩৬ হাজার ফলজ, বনজ, ওষধি ও দুর্লভ প্রজাতির গাছ রয়েছে, যা দেশের অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। ২০২২ সালে পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা ও প্রচারে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক জাতীয় পরিবেশ পদক লাভ করেন। নদীবিষয়ক গবেষণা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তাকে ২০২০ সালে তরুপল্লব দ্বিজেন শর্মা নিসর্গ পুরস্কার প্রদান করা হয়। ২০১৬ সালে গবেষণায় তিনি 'ভাইস চ্যান্সেলর্স এওয়ার্ড' লাভ করেন। তিনি নদীর সুরক্ষা এবং আন্দোলনের সাথে জড়িত। কুড়িগ্রামের রাজারহাটে চাকিরপশার নদীর অবৈধ দখল প্রতিরোধে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জীবনের নিরাপত্তার জন্য থানায় জিডি করেছেন। আবু সাঈদ হত্যার প্রেক্ষিতে তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। তার প্রতিষ্ঠান রিভারাইন পিপল নদী সুরক্ষার জন্য কাজ করে। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন এবং অনিয়মের অভিযোগে তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন। তিনি নদী সুরক্ষায় দায়িত্বশীলতা নিয়ে একটি বই প্রকাশ করেছেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • ড. তুহিন ওয়াদুদ বাংলাদেশের একজন নদী ও পরিবেশ বিষয়ক সংগঠক, গবেষক ও লেখক।
  • তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও ডিন।
  • তিনি ‘রিভারাইন পিপল’ নামক নদীবিষয়ক সংগঠনের পরিচালক।
  • তিনি জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২২ এবং তরুপল্লব দ্বিজেন শর্মা নিসর্গ পুরস্কার ২০২০ লাভ করেন।
  • তিনি কুড়িগ্রামের রাজারহাটে নদী সুরক্ষার আন্দোলনে জড়িত।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - তুহিন ওয়াদুদ

ড. তুহিন ওয়াদুদ রংপুর নগরের অপরিকল্পিত নগরায়ণের সমালোচনা করেছেন এবং উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও মাস্টারপ্ল্যান তৈরির উপর জোর দিয়েছেন।