অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া: শিক্ষকদের অধিকারের আইনি যোদ্ধা
ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ফরিদাবাদ গ্রামে ১৯৮০ সালে জন্মগ্রহণ করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। বিদ্যুতের আলো ছাড়াই গ্রামীণ পরিবেশে শিক্ষাজীবনের সূচনা। স্থানীয় মাদ্রাসা থেকে দাখিল-আলিম পাশ করে বরিশাল বিএম কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স এবং বরিশাল ল কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৬ সালে ঢাকায় এসে আইন পেশায় যুক্ত হন এবং দীর্ঘদিন ধরে সুপ্রিম কোর্টে একজন সফল আইনজীবী হিসেবে কাজ করে আসছেন।
ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া 'শিক্ষক বন্ধু' হিসেবে সুপরিচিত। তিনি সারাদেশের হাজার হাজার প্যানেল শিক্ষকের চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য আইনি লড়াই করে বিজয়ী হয়েছেন। ২০১০ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্যানেল শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলারের পর ৩২ হাজারেরও বেশি প্যানেল শিক্ষকের মধ্যে প্রায় ৭ হাজার শিক্ষকের চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য আইনি লড়াইয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়াও, তিনি কলেজ, হাইস্কুল ও মাদ্রাসার অসংখ্য শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের চাকরি ফিরিয়ে আনতে আইনি লড়াই করেছেন।
তিনি শুধুমাত্র শিক্ষকদের পাশেই নন; অধিকার বঞ্চিত শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্যও তিনি বিনা পয়সায় আইনি সেবা প্রদান করে আসছেন। তিনি হাজার হাজার মানুষের ভাগ্য গড়ে তুলেছেন কম খরচে আইনি লড়াই করে। তার সরলতা, নিষ্ঠা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি তার কাজে স্পষ্ট।
তার স্বপ্ন সাধারণ মানুষের পাশে থেকে আইনি সহায়তা দিয়ে যাওয়া এবং গরীব মানুষকে সাহায্য করা। তিনি তার সফলতাকে আল্লাহর রহমত মনে করেন এবং ক্লায়েন্টদের ভালোবাসা তার জন্য বৃহৎ প্রাপ্তি। তার জীবনের অভিজ্ঞতা এবং কাজের মধ্যে দিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন যে কঠোর পরিশ্রম, সততা এবং দায়িত্ববোধের মাধ্যমে সফলতা অর্জন সম্ভব। তার জীবনী একটি প্রেরণার উৎস হতে পারে অনেকের কাছে।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করব।