গ্রীন লাইন পরিবহন: বাংলাদেশের আন্তঃজেলা যাত্রী পরিবহনের অগ্রদূত
গ্রীন লাইন পরিবহন বাংলাদেশের একটি নামকরা আন্তঃজেলা পরিবহন সংস্থা। ১৯৯০ সালে আলহাজ্ব মোঃ আলাউদ্দিন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত, এটি দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরের মধ্যে যাত্রী পরিবহনের সেবা প্রদান করে আসছে। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় পরিসেবা দিয়ে শুরু করে, বর্তমানে গ্রীন লাইন বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের কলকাতা পর্যন্ত তার পরিষেবা বিস্তৃত করেছে।
গ্রীন লাইনের উল্লেখযোগ্য অবদান:
- বাংলাদেশে প্রথম এসি বাস পরিষেবা চালু: গ্রীন লাইন বাংলাদেশের সড়কপথে প্রথমবারের জন্য এয়ার কন্ডিশন্ড বাস পরিষেবা চালু করে যাত্রীদের আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য নতুন মানদণ্ড স্থাপন করে।
- আন্তর্জাতিক মানের বাস: ইউরোপ থেকে আমদানিকৃত VOLVO এবং SCANIA বাস গ্রীন লাইনের বহরে অন্তর্ভুক্ত, যা যাত্রীদের সর্বোচ্চ সুরক্ষা ও আরাম প্রদান করে।
- বিস্তৃত রুট নেটওয়ার্ক: ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, রাজশাহী, কক্সবাজার, বেনাপোল, রংপুর এবং কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহর ও গন্তব্যস্থলে গ্রীন লাইনের নিয়মিত বাস চলাচল করে।
- প্রশিক্ষিত কর্মী: ২০০ এর অধিক প্রশিক্ষিত কর্মীর মাধ্যমে বছরে এক মিলিয়নেরও বেশি যাত্রীকে নিরাপদে পরিবহন করে গ্রীন লাইন।
- জলপথে পরিষেবা (গ্রীন লাইন ওয়াটারওয়েজ): ২০১৪ সালে গ্রীন লাইন ওয়াটারওয়েজ নামে জলপথেও যাত্রী পরিবহন সেবা শুরু করে। টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন ও ঢাকা-বরিশাল রুটে এদের লঞ্চ পরিষেবা চালু আছে।
গ্রীন লাইনের ভবিষ্যৎ:
গ্রীন লাইন পরিবহন ক্রমাগত যাত্রীদের আরও উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। নতুন নতুন বাস ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা যাত্রার মান উন্নত করার চেষ্টা করছে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
- প্রতিষ্ঠাতা: আলহাজ্ব মোঃ আলাউদ্দিন
- প্রতিষ্ঠা বছর: ১৯৯০
- বাসের সংখ্যা: ৬০ টির বেশি
- কর্মীর সংখ্যা: ২০০ টির বেশি
- বছরে যাত্রীর সংখ্যা: ১০ লক্ষের বেশি
যোগাযোগের জন্য:
গ্রীন লাইনের ওয়েবসাইট এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়। তাদের বিভিন্ন শহরে অবস্থিত কাউন্টারের ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর তাদের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়।