টাঙ্গাইলের গোড়াই: একটি ইউনিয়নের বর্ণনা
বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলায় অবস্থিত ১০ নং গোড়াই ইউনিয়ন একটি ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল। লৌহজং ও বংশাই নদীর তীরে অবস্থিত এই ইউনিয়ন শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং খেলাধুলার জন্য পরিচিত। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, গোড়াই ইউনিয়নের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৫৭,৮৯৭ জন এবং ঘরসংখ্যা ১৪,৩৯৭ টি। ইউনিয়নের আয়তন প্রায় ২৯.৫৫ বর্গ কিলোমিটার। এখানে ২৬ টি গ্রাম, ১৫ টি মৌজা এবং ৯ টি হাট/বাজার রয়েছে।
ভৌগোলিক অবস্থান ও যোগাযোগ:
গোড়াই ইউনিয়ন মির্জাপুর উপজেলার ৬.৭ কিলোমিটার পূর্বে এবং টাঙ্গাইল শহরের ৩৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। উত্তরে লতিফপুর ইউনিয়ন, দক্ষিণে বহুরিয়া ইউনিয়ন, পূর্বে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ এবং পশ্চিমে মির্জাপুর উপজেলা অবস্থিত। যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে অটো, টেম্পু, বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।
শিক্ষা ও অবকাঠামো:
গোড়াই ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ৫৯.৪%। এখানে ১৪ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ টি বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪ টি উচ্চ বিদ্যালয়, এবং ৪ টি মাদ্রাসা রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ১ টি কলেজ (রাজাবাড়ী কলেজ)।
ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় স্থান:
গোড়াই ইউনিয়নে গোড়াই জমিদার বাড়ী এবং মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ দুটি ঐতিহাসিক/পর্যটন স্থান হিসেবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, ইউনিয়নে ২ টি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান রয়েছে। গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের ভবন ১লা ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে স্থাপিত হয়।
গ্রামসমূহ:
গোড়াই ইউনিয়নের অন্তর্গত গ্রামগুলির মধ্যে রয়েছে গোড়াই মঈন নগর, গোড়াই কোদালিয়া মডেল ভিলেজ সিকদার পাড়া, গোড়াই বিশার চালা, গোড়াই নাজির পাড়া, গোড়াই সৈয়দপুর, গোড়াই হরির পাড়া, গোড়াই রনার চালা, গোড়াই কোদাল কাটা, গোড়াই নয়া পাড়া, গোড়াই লাল বাড়ী, গোড়াই সোহাগ পাড়া, গোড়াই গন্ধর্ব্য পাড়া, গোড়াই আত্মারাম পাড়া, গোড়াই জয়ের পাড়া, গোড়াই রহিমপুর, রাজাবাড়ী, রশিদ দেওহাটা, গোড়াই খামার, মীর দেওহাটা, কদিম দেওহাটা, ধেরুয়া, বাইমাইল, রানাশাল, ভানুয়াবহ, কলিমাজানী এবং পথহারা।
উল্লেখযোগ্য ঘটনা:
গোড়াই ইউনিয়নে বিভিন্ন রাজনৈতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২৩ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গোড়াই হাইওয়ে থানায় আগুন লাগানো হয়। বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে এই অংশটি আরও সম্প্রসারিত করা হবে।