খন্দকার আনোয়ার পারভেজ

আপডেট: ২ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৭ পিএম

খন্দকার আনোয়ার পারভেজ নামটি দুটি ভিন্ন ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে পারে। প্রথমজন একজন বিখ্যাত বাংলাদেশী সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক এবং শব্দসৈনিক যিনি ১৯৪৪ সালে জন্মগ্রহণ করে ২০০৬ সালের ১৭ জুন মৃত্যুবরণ করেন। দ্বিতীয়জন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

প্রথম খন্দকার আনোয়ার পারভেজ (সুরকার):

এই আনোয়ার পারভেজ (১৯৪৪-২০০৬) বাংলাদেশের একজন অত্যন্ত প্রতিভাবান ও জনপ্রিয় সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক এবং শব্দসৈনিক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গান সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের সুর করেছেন। বিবিসির একটি জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি বাংলা গানের মধ্যে তিনটি গান তার সুরকৃত ছিল। তার সুরকৃত অন্যান্য জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘একবার যেতে দে না’ এবং ‘একতারা তুই দেশের কথা’। চট্টগ্রাম বেতার থেকে ষাটের দশকের গোড়ায় তার পেশাদার জীবন শুরু হয় এবং পরে তিনি ঢাকায় এসে বিভিন্ন মাধ্যমে সঙ্গীত পরিচালনা করেন। ‘রংবাজ’ ছবির মতো বাণিজ্যিকভাবে সফল ছবির সুরারোপও করেছিলেন তিনি। তিনি দীর্ঘদিন প্রস্টেট ক্যান্সারে ভুগে ২০০৬ সালের ১৭ জুন মৃত্যুবরণ করেন এবং ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। সঙ্গীতে অবদানের জন্য ২০০৭ সালে তাকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করা হয়। তার বোন শাহনাজ রহমতুল্লাহ একজন প্রখ্যাত গায়িকা ছিলেন এবং ভাই জাফর ইকবাল একজন চলচ্চিত্র অভিনেতা ছিলেন।

দ্বিতীয় খন্দকার আনোয়ার পারভেজ (বিএনপি নেতা):

এই আনোয়ার পারভেজ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০২৩ সালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গোড়াই আন্ডারপাস এলাকায় চাঁদা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দুটি বিএনপি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তার নাম জড়িত ছিল। এই ঘটনায় তিনি আহত হন।

উপরোক্ত তথ্য থেকে বোঝা যায় যে 'খন্দকার আনোয়ার পারভেজ' নামটি দুটি ভিন্ন ব্যক্তিবর্গকে নির্দেশ করে। আপনার যদি আরও বিস্তারিত তথ্যের প্রয়োজন হয়, দয়া করে আমাদের জানান।

মূল তথ্যাবলী:

  • আনোয়ার পারভেজ (সুরকার): ১৯৪৪ সালে জন্ম, ২০০৬ সালে মৃত্যু, প্রখ্যাত সুরকার, 'জয় বাংলা বাংলার জয়' সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের সুরকার, ২০০৭ সালে মরণোত্তর একুশে পদক লাভ
  • আনোয়ার পারভেজ (বিএনপি নেতা): টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চাঁদা সংক্রান্ত সংঘর্ষে জড়িত

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।