গাড়ি চুরি বর্তমানে একটি ব্যাপক সমস্যা হয়ে উঠেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং ভারতের মতো দেশগুলিতে গাড়ি চুরির ঘটনা দ্রুত বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন গবেষণা ও সংবাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই চুরির পেছনে জড়িত বিভিন্ন চক্র এবং তাদের কৌশল।
যুক্তরাষ্ট্র: ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি চুরি হয়েছে হুন্ডাই এলানট্রো, হুন্ডাই সোনাটা, কিআ অপটিমা, শেভ্রোলে সিলভারডো ২৫০০, এবং কিআ সোল মডেলের গাড়ি। ন্যাশনাল ইনস্যুরেন্স ক্রাইম ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, এই গাড়িগুলোর নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের কারণে সহজে চুরি করা সম্ভব।
কানাডা: ২০২২ সালে কানাডায় এক লাখ পাঁচ হাজারেরও বেশি গাড়ি চুরি হয়েছে। এটি একটি জাতীয় সংকট হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। চুরি হওয়া গাড়িগুলো বিদেশে, বিশেষ করে ঘানার মতো দেশে পাচার করা হয়। কানাডা সরকার এবং পুলিশ এই সমস্যা মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, যার মধ্যে বন্দরগুলিতে তল্লাশি বাড়ানো এবং পুলিশ বাহিনীকে অতিরিক্ত তহবিল বরাদ্দ করা উল্লেখযোগ্য।
যুক্তরাজ্য: যুক্তরাজ্যে, বিশেষ করে লন্ডনে, গাড়ি চুরির হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। ফোর্ড, ল্যান্ড রোভার, মার্সিডিজ, বিএমডব্লিউ, এবং ভক্সহল মডেলের গাড়িগুলো বেশি চুরির শিকার হচ্ছে।
ভারত: ভারতে, প্রতি বছর প্রায় এক লাখ গাড়ি চুরি হয়, মারুতি সুজুকি ওয়াগন আর এবং মারুতি সুজুকি সুইফট মডেলের গাড়িগুলো সবচেয়ে বেশি চুরির শিকার। দিল্লিতে গাড়ি চুরির হার সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ: বাংলাদেশেও গাড়ি চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজধানীতে প্রতিমাসে গড়ে ২০-২৫ টি গাড়ি চুরি হয়। পেশাদার চক্রের অংশগ্রহণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে, জড়িত চক্রের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করা এখনও সম্ভব হয়নি।
গাড়ি চুরির ঘটনা রোধে বিভিন্ন সতর্কতা প্রয়োজন। গাড়ি নিরাপদে পার্কিং করা, ঠিকমতো লক করা, সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার এবং জিপিএস ট্র্যাকার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। তদন্তকারী সংস্থাগুলি এবং সরকারকে চুরি রোধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি।